এবার ঈদে কিশমিশ নাকি আঙুর, স্বাস্থ্যের জন্য কোনটি উপকারী

কিশমিশ এবং আঙুর অনেকেই দুটোই খেতে ভালবাসেন। কিন্তু আঙুর নাকি কিশমিশ, কোনটি বেশি স্বাস্থ্যকর তা নিয়ে জনমানসে প্রচুর দ্বন্দ্ব আছে। একটি কাঁচা, অন্যটি শুকনো— এই দু’টি পার্থক্য ছাড়াও পুষ্টিগুণেও পার্থক্য রয়েছে। আঙুর রোদে বা হাওয়ায় শুকিয়ে বানানো হয় কিশমিশ। আর সেই প্রক্রিয়াতেই হেরফের হয়ে যায় দুইয়ের পুষ্টিগুণ।

বাঙালি খাবার প্রিয় মানুষ। এরা বহু রান্নায় কিশমিশ ব্যবহার করে। ঈদ বা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কিসমিস দিয়ে সুস্বাদু সব খাবার রান্না করা হয়। পোলাও-পায়েস কিংবা বিভিন্ন খাবারে এক মুঠো কিশমিশ দিলে স্বাদ কয়েক গুণ বেড়ে যায়। অনেকেই আবার সুস্বাস্থ্যের জন্য দিনে বেশ কয়েকটি কিশমিশ খান। কিশমিশ শরীরে শক্তি জোগায়, হাড় মজবুত করে। কিশমিশে থাকে ফাইবার, প্রোটিন, আয়রন, পটাশিয়াম, কপার। রাতে জলে কয়েকটি কিশমিশ ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খেলে তা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। তবে শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করে আঙুর অথবা কিশমিশ খাওয়া প্রয়োজন।

আঙুর শুকিয়ে তৈরি করা হয় কিশমিশ। তাই এতে শর্করা অনেক ঘন হয়ে যায়। ডায়াবিটিসে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে কিশমিশ অনেক বেশি ক্ষতিকারক হয়ে উঠতে পারে। পরিবর্তে ডায়াবিটিক রোগীরা আঙুর খেতে পারেন। আঙুরে তুলনায় সমস্যা কম। তবে ডায়াবিটিস থাকলে আঙুর খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেওয়া জরুরি।

আরো পড়ুন: রমজানে রূপচর্চায় হলুদের ব্যবহার!

চিনির মতো কিশমিশে ক্যালোরির পরিমাণও অনেকটা বেশি। কিশমিশের শাঁসের ঘনত্ব বেশি বলে ক্যালোরির পরিমাণও অনেকটা। কিশমিশের তুলনায় আঙুরে ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম। প্রায় নেই বললেই চলে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিশমিশের চেয়ে আঙুর অনেক বেশি উপকারী। তবে কিশমিশে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের পরিমাণ অনেক বেশি। শরীরের দূষিত পদার্থ বের করে দিতে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট দারুণ কার্য়করী।

তবে পুষ্টিবিদরা বলছেন, আঙুর বেশি উপকারী কারণ এতে জলের পরিমাণ অনেক বেশি। কিশমিশে জল নেই বললেই চলে। এ ছাড়াও আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, ই, সি, ভিটামিন বি১, বি২-এর মতো উপকারী পুষ্টিগুণ। কিশমিশ শরীরের বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদানের ঘাটতি তৈরি করে।

এপ্রিল ১৯.২০২২ at ১৬:৩০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/আবপ/জআ