সশরীরে পরীক্ষা চায় না শিক্ষার্থীরা

করোনাকালে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সশরীরে পরীক্ষা না নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, ‘ও’ এবং ‘এ’ লেভেলের পরীক্ষা সশরীরের পরিবর্তে বিকল্প হিসেবে পোর্টফোলিও অব এভিডেন্স (পিওএ) ব্যবস্থায় নেওয়া হোক।

শনিবার (১৬ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এসব কথা বলেন দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়া ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, পিওএ হচ্ছে- ক্লাসে উপস্থিতি, ক্লাস মূল্যায়ন পরীক্ষা, অ্যাসাইনমেন্ট, মক টেস্টসহ শ্রেণিকক্ষের সামগ্রিক অবস্থান বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের পদ্ধতি। করোনার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এ পদ্ধতিতে বিভিন্ন দেশে ইংরেজি মাধ্যমের পরীক্ষা হচ্ছে।

করোনার কারণে দুই বছর সশরীরে ক্লাস বন্ধ ছিল। এতে তারা অনেক পিছিয়ে পড়েছেন। এ অবস্থায় সশরীরে পরীক্ষা হলে ফলাফল খারাপ হবে। শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

আরো পড়ুন:
নুন বেশি, খুন করে ফেললেন স্ত্রীকে
মা হতে চেয়ে স্ত্রীর আবেদনে মুক্ত হলেন স্বামী

মানববন্ধনে আমেরিকান স্ট্যান্ডার্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ‘এ’ লেভেলের এক পরীক্ষার্থী বলেন, সশরীরে পরীক্ষা না নিয়ে প্রমাণভিত্তিক পরীক্ষা নেওয়া হোক। করোনার কারণে বাংলা মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের সিলেবাস কমিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে, যা ন্যায্য। আমরা চাই, সশরীরে পরীক্ষা না নিয়ে মডেল টেস্ট, অ্যাসাইনমেন্ট, উপস্থিতির ওপর ভিত্তি করে প্রমাণভিত্তিক পরীক্ষা নেওয়া হোক। গত দুই বছরে করোনার কারণে ক্লাস হয়নি, অনলাইন ক্লাস হয়েছে। এ কারণে আমাদের প্রস্তুতিও ভালো না।

এ লেভেলের পরীক্ষার্থী বলেন, ক্যামব্রিজ ও এডেক্সেল সংগঠন ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের জন্য একটাই বিকল্প দিয়েছে। সেটি হচ্ছে, পিওই পদ্ধতি অথবা শিক্ষকদের মূল্যায়ন (টিচার্স অ্যাসেসড গ্রেডস)। কিন্তু, এজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি প্রয়োজন। আমরা আবেদন করেছিলাম, শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন এ অনুমতি দেবেন। তবে শেষ অনুমতি মেলেনি। এটা আমাদের জন্য বৈষম্য।

অন্যান্য শিক্ষার্থীরা জানান, দাবি আদায়ে প্রায় ছয় হাজার শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর করা একটি চিঠি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে এখন ‘ও’ এবং ‘এ’ লেভেলের পরীক্ষা পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে চিঠি দেওয়া হলে সমস্যার সমাধান হবে। পুরো সিলেবাসে পরীক্ষা দিতে গেলে তাদের পরীক্ষা খারাপ হবে, উচ্চ শিক্ষা ব্যাহত হবে। এসব দাবি নিয়ে এ পর্যন্ত তারা চারবার সড়কে নেমেছেন। কিন্তু, তাদের কথা কেউ শুনছেন না।

এপ্রিল ১৬.২০২২ at ১৯:২২:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/ঢাপ/জআ