ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের নিকটবর্তী শহর বুচাতে এখন পর্যন্ত প্রায় চার শতাধিক মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে শহরটির মেয়র আনাতোলি ফেডোরুক । মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
মঙ্গলবার শহরটির মেয়র বলেন, কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত ৪০৩ জনের মৃতদেহ খুঁজে পেয়েছে। রাশিয়ার দখলে থাকার সময় এসব মানুষকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন তারা।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের উপকণ্ঠে অবস্থান বুচা শহরটির । রাজধানী কিয়েভে প্রবেশ করতে হলে কৌশলগতভাবেই এই গুরুত্বপূর্ণ শহরটি অতিক্রম করতে হয়। রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পরপরই ছোট এই শহরটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় রাশিয়ার সামরিক বাহিনী, পরে রুশ সেনারা এ শহর ছেড়ে চলে যায়। বুচার মেয়র দাবি করছেন, রুশ সেনাদের শহর ছেড়ে চলে যাওয়ার পরই এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয় । এ লাশের মিছিল ক্রমেই বেড়ে চলেছে।
মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে মেয়র আনাতোলি ফেডোরুক আরও বলেন, গত মাসের শেষ নাগাদ রাশিয়ার সৈন্যরা পিছু হাটার পর এ শহরের বাসিন্দাদের শহরে ফিরে আসা খুব দ্রুত হয়ে গেছে।
তবে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বুচা শহরে মৃত মানুষের সংখ্যা নিয়ে মেয়রের দেওয়া এ মন্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে যাচাই করতে পারেনি। রয়টার্স বুচায় নিহত পাঁচ জনের মৃতদেহ শনাক্ত করেছে, যাদের মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। তবে তাদের মৃত্যুর জন্য দায়ী কে তা এখন অবধি নির্ধারণ করতে পারেনি বার্তাসংস্থাটি।
রাজধানী কিয়েভের উপকণ্ঠে অবস্থিত এ শহরে যুদ্ধ শুরুর প্রথম কয়েক সপ্তাহে রুশ ও ইউক্রেনীয় বাহিনীর মধ্যে তুমুল লড়াই দেখেছে ও এ মাসের শুরুতে এটি পুনরুদ্ধার হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত প্রায় এক মাস শহরটি রুশ সেনাদের দখলে ছিল।
মস্কো অবশ্য ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে বেসামরিক নাগরিকদের হামলা করার কথা বারংবার অস্বীকার করে আসছে। শহরটি দখলের সময় রুশ বাহিনী কর্তৃক বুচাতে বেসামরিক নাগরিক হত্যার অভিযোগকে ‘ভয়াবহ জালিয়াতি’ বলে অভিহিত করেছে মস্কো।
