নাপা সিরাপের রিঅ্যাকশনে রহস্যজনক মৃত্যু

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ‘নাপা সিরাপ খেয়ে’ দুই সহোদর শিশুর মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর গঠিত কমিটি। রোববার (১৩ মার্চ) দুপুর সোয়া ১২টায় উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে গিয়ে তদন্ত কমিটির সদস্যরা ওই দুই শিশুর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন।

গত ১০ মার্চ রাতে আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে ‘নাপা সিরাপ খেয়ে’ ইয়াছিন খান (০৭) ও মোরসালিন খান (০৫) নামে দুই সহোদর শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ তোলেন স্বজনরা। মৃত দুই শিশু দুর্গাপুর গ্রামের ইটভাটা শ্রমিক ইসমাঈল হোসেন খানের ছেলে।

ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটির নেতৃত্বে আছেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. আকিব হোসেন। তার সঙ্গে অধিদপ্তরের দুইজন উপ-পরিচালক, দুইজন সহকারী পরিচালক এবং একজন পরিদর্শক আছেন।

আরো পড়ুন:
শিশুটি সুস্থ থাকলে বদলে যেতে পারে অনেক কিছু
তেলসহ নিত্যপণ্য মজুতের সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে: হাইকোর্ট

তদন্ত কমিটি মারা যাওয়া দুই শিশুর মা লিমা বেগম, চাচা উজ্জল মিয়া এবং দাদি নিলুফা বেগমের সাক্ষ্য নেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে কমিটির প্রধান ডা. আকিব হোসেন সাংবাদিকদের জানান, যে সিরাপটি নিয়ে অভিযোগ উঠেছে, সেটি পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। একই ওষুধের অন্যান্য ব্যাচের ওষুধ সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

স্বজনরা জানান, ওষুধ খাওয়ানোর পরপরই দুই শিশু গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ বিষয়টি ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। ওষুধটিতে কী এমন উপাদান ছিল যে খাওয়ার ১০/১৫ মিনিটের মধ্যে রিঅ্যাকশন করল। বিষয়টি আসলেই রহস্যজনক। এই রহস্য উদঘাটন করতে হয়তো সময় লাগবে।

মার্চ ১৩.২০২২ at ১৭:২০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/ঢাপ/জআ