বদলগাছীতে খাস আদায়ের নামে ভান্ডারপুর হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার ভান্ডারপুর হাটে সরকারী নিয়ম-নীতি কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিযয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে ম্যানেজ করে গায়ের জোরে ক্রেতা ও বিক্রেতার কাছ থেকে খাস আদায়ের নামে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করছে হাট ইজারাদার।

অপরদিকে, ক্রেতা গণ ৪৩ কেজিতে মণ হিসেবে পিয়াজ,পটল ,বেগুন, আলু কাঁচামরিচ সহ অন্যান্য সবজি ক্রয় করার অভিযোগ তুলেছে কৃষকরা। উক্ত হাট কোন স্থানেই জনসার্থে টাঙানো হয়নি খাজনা আদায়ের টোল তালিকা। যা হাট-বাজার ইজারা নীতিমালা বহির্ভুত এবং ইজারা বাতিলযোগ্য বলেও ক্রেতা বিক্রেতাসহ সতেচন মহল জানান। অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে একাধীকবার মৌখিক অভিযোগ করা হলেও কনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নি তিনি।

সরেজমিনে ভান্ডারপুর হাটে গিয়ে দেখাযায়, সরকারি নিয়ম-নীতিকে উপেক্ষা করে বাজারে বিক্রয় করতে নিয়ে আসা পিয়াজ,পটল,বেগুন,মুলা,সিম ও আলু মণ প্রতি ২০ টাকা করে খাজনা কৃষকদের কাছ থেকে ক্রেতারা কেটে রেখে তার পর সবজির মুল্য দিচ্ছে এবং ক্রেতার নিকট থেকে মণ প্রতি আরো ২০ টাকা করে মোট ৪০ টাকা খাজনা নিচ্ছে হাট ইজারাদার। আবার অন্য দিকে কাঁচা মরিচ প্রতি মণ হিসাবে কৃষকদের কাছ থেকে খাজানা আদায় করছে ৪০ টাকা করে।

হাটে আসা বিক্রেতারা যেন জিম্মি ক্রেতাদের কাছে। আর ক্রেতারা জিম্মি হাট ইজারদারের কাছে। উক্ত হাটে খাস আদায়ের কোন রশিদ দেওয়া হয়না বলে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের ভাষ্যে জানা গেছে। খাস আদায়ের সময় সরকারি ভূমি অফিসের লোক উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও হাটে গিয়ে ভূমি অফিসের কাউকে পাওয়া যায়নি।

ভান্ডারপুর হাটে আসা কৃষক জামাল বলেন, প্রতি হাটে পটল, বেগুন আলু সহ অন্যান্য সবজি ৬ শ থেকে ৭শত মণ পর্যন্ত কৃষকেরা এই হাটে নিয়ে আসে। আবার কোন হাটে আলু আসে প্রায় ১ হাজার থেকে ১৫০০শ মণ। আর এসব সবজি বিক্রয় করতে এসে কৃষকরা ক্রেতাদের কাছে জিম্মি হয়ে পরে। ক্রেতারা খাজনার টাকা কেটে নিয়ে পরে সবজির মূল্য পরিশোধ করে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে কৃষকদের সাথে।

কাঁচা মাল কিনতে আসা তুহিন ট্রের্ডাস এর সুমন হোসেন বলেন ভান্ডারপুর হাটে আসা বিক্রেতা ও ক্রেতাদের কাউকেই হাট ইজারাদার খাজনা আদায়ের কোন প্রকার রশিদ দেয়না বলে জানান।

অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে বারবার অবগত করলেও রহস্যজনকভাবে নীরব থাকার অভিযোগও তুলেছে এলাকার জনসাধারন ।

অতিরিক্ত খাজনা আদায় এবং ক্রেতা-বিক্রতা উভয়ের নিকট থেকে খাজনা আদায় বিষয়ে হাট ইজারাদার আহম্মদ আলীর সাথে কথা বললে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, আমরা খাঁস আদায় করছি। হাটে খাজনা আদায়ের টোল তালিকা কেন হাটে টাঙানো হয়নি বলে জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর দেননি। বিক্রেতার কাছ থেকে কেন খাজনা আদায় করছেন বলে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন , আমাদের এই বার খাঁস আদায়ে লস হচ্ছে তাই আদায় করছি।

এ বিষয়ে কোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন হাট-বাজার কমিটির সভাপতি শাহীনুর ইসলাম স্বপন জানান, আমি হাট ইজারাদারকে বারবার নিষেধ করেছি ভান্ডারপুর হাটে কাঁচামাল বিক্রয় করতে আসা বিক্রেতার কাছ থেকে কোন খাজনা যেন না আদায় করা হয়।হাট ইজারাদার আমার কোন কথায় কর্ণপাত করেনা।

খাজনা আদায় বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলপনা ইয়াসমিন বলেন, যে কোন এক পক্ষের নিকট থেকে খাজনা আদায় করতে পারবে। খাজনা আদায়ের টোল তালিকা কেন হাটে টাঙানো হয়নি বলে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সামনেই নতুন করে হাট ইজারা দেওয়া হবে তখন বিষয় গুলো দেখবো।