নরসিংদীতে ২৩৭ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১২৯ প্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার

ভাষা আন্দোলনের ৬৯ বছর পার হলেও ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস ও ভাষা শহীদদের সম্পর্কে অজানা রয়ে যাচ্ছে নতুন প্রযন্মের শিক্ষর্থীরা। প্রধান প্রধান শিক্ষা প্রতিষ্ঠন গুলোতে শহীদ মিনার থাকলেও নরসিংদীতে এখনো ১২৯ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই ভাষা শহীদদের স্মৃতিফলক শহীদ মিনার। শিশু শিক্ষার্থীসহ তরুণ প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগের বিষয়টি অজনা রয়ে যাচ্ছে। তবে প্রতিবারের মতো এবারও শিক্ষা কর্মকর্তা বলছে,যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠনে শহীদ মিনার নেই,সেসব স্কুলের তালিকা মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে।

জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ২৩৭টি। এর মধ্যে ১২৯ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনো শহীদ মিনার নেই। এ ছাড়া মাদ্রাসা ও কিন্ডারগার্টেনগুলোর বেশিরভাগে নেই শহীদ মিনার। তবে এর বাইরেও রয়েছে বেসরকারী কলেজ,কিন্ডারগার্টেন ও এনজিও পরিচালিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। সে হিসাবে বাস্তবে শহীদ মিনার না থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা আরও বেশি।

এদিকে প্রাথমিক স্কুলগুলোতে শহীদ মিনার না থাকায় ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস ও ভাষা শহীদের সম্পর্কে অজ্ঞ রয়ে যাচ্ছে নতুন প্রযন্মের শিশু শিক্ষর্থীরা। তাই প্রাথমিক সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার স্থাপনের দাবী জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই,সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা কলাগাছ দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার তৈরি করে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। প্রতিটি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন অভিবাকরা।

আরো পড়ুন :
একুশে বইমেলায় চিতলমারীর অসুস্থ সাংবাদিক কপিলের দুই বই
দীর্ঘ ১৭ বছর পরে নিজ পরিবারের মাঝে ফিরলেন ভাঙ্গুড়ার আনোয়ার

স্বাধীনতার ৫০ বছরেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার না থাকায় ক্ষোভ জাড়লেন মুক্তিযোদ্ধারা। বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান ছোট্ট,বলেন একটা শহীদ মিনার করতে তো আর এত বেশি টাকা খরচ লাগে না। ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা হলেই একটি শহীদ মিনার করা যায়। তিনি আরো বলেন, আমরা যখন স্কুল কলেজে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ইনভাইট করলে যাই তখন গিয়ে যখন দেখি স্কুল কলেজ গুলোতে শহিদ মিনার নেই তখন খুব কষ্ট হয়। এবং তিনি আগামী ২১শে ফেব্রুয়ারি আসার আগে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার স্থাপনের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর শহীদ মিনারের জন্য নিদিষ্ট একটা ডিজাইন করে দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী স্থনীয়ভাবে অনেক স্কুলেই শহীদ মিনার নির্মাণ করেছেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষা অফিস।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গৌতম চন্দ্র মিত্র বলেন, যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠনে শহীদ মিনার নেই, সেসব স্কুলের তালিকা মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। পর্যাযক্রমে প্রত্যেকটি স্কুলে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হবে।

ফেব্রুয়ারী ২১.২০২১ at ১১:০০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/ইফি/রারি