কাহালু প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের ক্ষোভ প্রকাশ

সম্প্রতি কাহালু প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মুনসুর রহমান তানসেন এবং সিনিয়র সদস্য প্রভাষক মাকসুদুর রহমান মাসুদকে জড়িয়ে দৈনিক দুরন্ত পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন সাংবাদিক বৃন্দ।

কাহালু প্রেসক্লাবের সভাপতি মুনসুর রহমান তানসেন, কাহালু প্রেসক্লাবের বর্তমান সভাপতি ইউনুস আলী টনি সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সহসাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, কোষাধ্যক্ষ প্রভাষক শাহাবুদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক প্রভাষক ওহেদুজ্জামান চন্দন, সাবেক সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক আ. ছালেক তোতা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সিনিয়ার সাংবাদিক সরদার এ. কে. এম. রেজাউল হক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক মাকসুদুর রহমান, সিনিয়র সদস্য প্রভাষক হাবিবুর রহমান হাবিব, সদস্য ফাহিম আহম্মেদ রিয়াদ প্রমুখ।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয় ২৯/০২/২০২০ ইং তারিখে বর্তমান কাহালু প্রেসক্লাবের সভাপতি মুনসুর রহমান তানসেন ও কুতুব শাহাবুদ্দিন বাবুকে পূর্বের কমিটির সভাপতি আ. ছালেক তোতা এবং সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক মাকসুদুর রহমানকে দায়িত্ব বুঝে দেন। পূর্বের কমিটির আমলে কাহালু কাহালু প্রেসক্লাবের নতুন ভবন নির্মাণ বাবদ বর্তমান কমিটির কাছে ২০ হাজার টাকা পাওনা ছিলেন প্রভাষক মাকসুদুর রহমান।

বর্তমান কমিটি দুই কিস্তিতে সেই টাকা পরিশোধ করে। প্রভাষক মাকসুদুর রহমান প্রেসক্লাবের টাকা আত্নসাৎ করেছে এই ধরনের প্রশ্নই উঠেনি বর্তমান কমিটির সময়। অথচ তার বিরুদ্ধে বগুড়া থেকে প্রকাশিত দৈনিক দুরন্ত পত্রিকায় কোন প্রমাণ ছাড়া এই ধরনের সংবাদ মানহানিকর। সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে মুনসুর রহমান তানসেন ও মাকসুদুর রহমান দুলাখ টাকা আত্নসাৎ করেছে।

আরো পড়ুন :
মাদ্রাসা থেকে বের করে দেওয়া শিশুকে বিনা বেতনে পড়াতে চান মাদ্রাসা পরিচালক
শাবিপ্রবির সাবেক ৫ শিক্ষার্থী পুলিশ হেফাজতে

কাহালু প্রেসক্লাবের হিসাব-নিকাশের আয়ে-ব্যায়ের খতিয়ান ও নথিপত্র না দেখে এই ধরণের সংবাদ মানহানিকর ও আইনত অপরাধ। প্রেসক্লাবের নির্মাণ কাজের একটি প্রকল্পের কমিটিতে দুরন্ত পত্রিকার কাহালু প্রতিনিধি ইমদাদও ছিলেন। সেই প্রকল্পের ব্যায়ের হিসাব ২৮/০৭/২০২০ ইং তারিখে প্রেসক্লাবের সভায় তুলে ধরলে তা সকলের উপস্থিতিতে পাশ করা হয়।

প্রেসক্লাবের ভবন নির্মাণের জন্য নতুন তিনজন প্রাথমিক সদস্য ৩০ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছে, সেই বিষয়ে প্রেসক্লাবের ০৮/০৫/২০২১ ইং তারিখে সভার রেজুলেশনে উল্লেখ রয়েছে। ওই সভায় উপস্থিত থেকে দুরন্ত পত্রিকার কাহালু প্রতিনিধি ইমদান হোসেনের নিজেও স্বাক্ষর করেছেন।

দুরন্ত পত্রিকার কাহালু প্রতিনিধি ইমদাদ হোসেন প্রকল্প কমিটির হিসেব নিজে দাখিল করে এবং প্রাথমিক সদস্যদের কাছ থেকে প্রাপ্ত ৯০ হাজার টাকার অনুদানের যে, রেজুলেশন হয়েছে, সেই রেজুলেশনে তিনি স্বাক্ষর করার পরেও দুরন্ত সংবাদে এই ধরনের সংবাদ প্রকাশ করায় বিবৃতি দাতারা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

জানুয়ারি ২৬.২০২১ at ১৮:৫৩:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/শা/রারি