শিবচরে ‘লিটন চৌধুরী সেতু’ তে দূর হবে ভোগান্তি

মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা সদরের সঙ্গে লাগোয়া তিন ইউনিয়নের যোগাযোগের জন্য আড়িয়াল খাঁ নদীতে নির্মাণ করা হচ্ছে ‘লিটন চৌধুরী সেতু’। সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে। চলতি বছর শেষ হওয়ার কথা। ইতিমধ্যে সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে ৭৫ শতাংশ। নির্ধারিত সময়েই কাজ শেষ হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। সেতু চালু হলে দূর হবে ভোগান্তি, ত্বরান্বিত হবে উন্নয়ন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ নৌকা-ট্রলারে আড়িয়াল খাঁ নদী পাড়ি দেয়। এতে দীর্ঘ সময় নদীর পাড়ে অপেক্ষা করতে হয় যাত্রীদের। সেতু না থাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক হয়ে উপজেলা সদরে যেতে হয়।

এতে দূরত্ব বেড়ে যায় প্রায় ২০ কিলোমিটার। লিটন চৌধুরী সেতু নির্মাণকাজ শেষ হলে সদর উপজেলার সঙ্গে ওই তিন ইউনিয়নের দূরত্ব কমে আসবে ৫ কিলোমিটারে। মাত্র ১৫ মিনিটে যাওয়া যাবে সদর উপজেলায়। এতে ভোগান্তি কমবে।

শিবচর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, চুক্তি অনুযায়ী ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। শেষ হবে ২০২২ সালের ২২ অক্টোবর। সেতুর নির্মাণকাজ বাকি রয়েছে ২৫ শতাংশ। সেতু নির্মাণে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ৯০ কোটি ২৭ লাখ ৭৭ হাজার ৯২৪ টাকা। দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে সেতু নির্মাণে কাজ করছে।

আরো পড়ুন :
শাবিপ্রবির সাবেক ৫ শিক্ষার্থী পুলিশ হেফাজতে
মাদ্রাসা থেকে বের করে দেওয়া শিশুকে বিনা বেতনে পড়াতে চান মাদ্রাসা পরিচালক

২০১৮ সালের অক্টোবরে সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী। সেতুর দৈর্ঘ্য ৫৫০ মিটার ও প্রস্থ ৯ দশমিক ৮০ মিটার।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হলে শিবচর উপজেলা সদরের সঙ্গে শিরুয়াইল ইউনিয়নের উৎরাইল, সাদেকাবাদ, সিপাইকান্দি, শিরুয়াইল, নিলখী ইউনিয়ন, দত্তপাড়া ইউনিয়নের গুয়াগাছিয়া, মগড়া, শৈল্যা, তাজপুর, বাজেহারচর গ্রাম এবং ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের পাতরাইল-দিঘিরপাড় এলাকার যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হবে। এতে যোগাযোগব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এলাকার উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।

উৎরাইল মহিলা দাখিল মাদ্রাসার একাধিক শিক্ষক জানান, আগে নদী পার হওয়ার ভোগান্তি, বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি ও স্রোতের কারণে ঝুঁকি থাকায় সম্প্রতি ছাত্রীসংখ্যা কমে গেছে। সেতু নির্মিত হলে আবারও শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়বে।

শিরুয়াইল ইউপি চেয়ারম্যান সুরাবউদ্দিন মাতুব্বর বলেন, ‘সেতু চালু হলে এলাকার যোগাযোগব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন ঘটবে। শিবচরের সঙ্গে যাতায়াত সহজ হয়ে যাবে। এ এলাকায় উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।’

শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘সেতুর নির্মাণ কাজ বেশ দ্রুতগতিতে চলছে।’

জানুয়ারি ২৬.২০২১ at ১৮:০০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/রাহো/রারি