পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে যশোর সড়কে প্রতীকী পরীক্ষায় বসেন শিক্ষার্থীরা

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থগিত করা পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার সময় প্রেসক্লাব যশোরের সামনের রাস্তায় প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অভিনব প্রতীকী পরীক্ষায় বসেন।

যশোরে মানববন্ধন ও প্রতীকী পরীক্ষা কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার সময় প্রেসক্লাব যশোরে সামনের সড়কে এই কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থী। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থগিত করা পরীক্ষাসমূহ নেয়ার দাবিতে শিক্ষার্থীরা এই অভিনব কর্মসূচি পালন করেন। এ কর্মসূচিতে যশোর সরকারি এম. এম. কলেজ, সিটি কলেজ, ডা. আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যালসহ বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

ঘণ্টাব্যাপী চলা কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান পরীক্ষা স্থগিতের প্রতিবাদে বিভিন্ন স্লোগান দেন। পরীক্ষার ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলেন জানান শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শেষ হয়।

মানববন্ধনকালে শিক্ষার্থীরা বলেন, করোনার কারণে প্রায় দুই বছর ধরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের জীবন চরম সংকটে পড়তে যাচ্ছে। ২০২০ সালে যাদের প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা শেষ হওয়ার কথা ছিল, ২০২২ সালেও তা শেষ হয়নি। এতে করে পড়াশোনার সনদ গ্রহণের পর চাকরিতে প্রবেশের জন্য সময় কমে যাচ্ছে।

শিক্ষার্থীদের স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পড়া শেষ হতে হতে বয়স ২৬ থেকে ২৭ হয়ে যাবে। অথচ চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর। তারা আরও বলেন, বিসিএসের মতো প্রতিযোগিতামূলক চাকরিতে প্রবেশের প্রস্তুতির জন্য এ সময় যথেষ্ট নয়।

আরো পড়ুন :
নৌকা প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রচারণায় বাধা ও পোস্টার ছেড়ার অভিযোগ
সাংবাদিক নামের এরা কারা?

যেসব কারণে করোনা সংক্রমণ বেশি ছড়িয়ে পড়তে পারে সেগুলো বন্ধ না করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সব পরীক্ষা স্থগিত করেছে, যা কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়। অথচ এরই মধ্যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় সশরীর পরীক্ষা নেওয়া অব্যাহত রেখেছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত পুন:বিবেচনা করে দ্রুত সব পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণার দাবি জানান তারা।

মানববন্ধনে সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী সাদিয়া জাহান বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে সরকার পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে নিজেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দিয়েছে। অথচ সরকার ঘোষণা দিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা বন্ধ করেছে।

এছাড়া দেশে বাণিজ্য মেলা বা এমন আরও অনেক বিষয়ে জনসমাগম হতে পারলে পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে কেন এ বিধিনিষেধ? স্বাস্থ্যবিধি মেনে যদি সবকিছু চলতে পারে, তাহলে পরীক্ষা কেন চলতে পারে না?

ইমরান হোসেন নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, দ্রুত পরীক্ষার নতুন করে রুটিন না দিলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনশনে যাওয়ার মতো কর্মসূচি দেওয়া হবে।

জানুয়ারি ২৬.২০২১ at ১৫:১৮:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/আক/রারি