রাজশাহীতে জেঁকে বসেছে শীত

তাপমাত্রার পারদ বাড়লেও বরেন্দ্র-খ্যাত এই অঞ্চলে কাটেনি শীতের তীব্রতা। বৃষ্টির সঙ্গে ঘন কুয়াশায় জেঁকে বসেছে শীত। সোমবার সকাল ৬টার দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

রোববার থেকেই গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সেই সঙ্গে পড়ছে ঘন কুয়াশা। এ কারণেই একেবারে জেঁকে বসেছে শীত। সকাল ৭টায় দৃষ্টিসীমা এলাকা ভেদে নেমে এসেছে ১৫০ মিটারে। সকাল থেকেই রাস্তায় লাইট জ্বেলে যানবাহন চলাচল করছে। ঘন কুয়াশার সঙ্গে বাইছে উত্তরের ঠান্ডা বাতাস। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না লোকজন।

রাজশাহী আবহাওয়া দফতরের উচ্চ পর্যবেক্ষক আব্দুস সালাম জানান, সকাল ৬টার দিকে রাজশাহীতে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ওই সময় ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা নেমে এসেছিল ৮০০ মিটারে। পরে আরও কিছুটা কমেছে। সকাল ৭টার দিকে এলাকা ভেদে দৃষ্টিসীমা নেমেছে ১৫০ থেকে ২০০ মিটারে। এদিকে, থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি নামছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে রাজশাহীতে। কুয়াশার আড়ালে ঢাকা পড়েছে সূর্য। সেই সঙ্গে বাতাস থাকায় শীতের এত তীব্রতা।

আরো পড়ুন :
টমেটো চাষে অভাবনীয় সাফল্য শিবচরের কৃষক লুৎফর রহমানের
অনলাইনে ক্লাস চালানোর নির্দেশ: মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতর

এর আগে রোববার (২৩ জানুয়ারি) রাজশাহীতে দিনের সর্বনিম্ন্ন তাপমাত্রা রেকর্ড কর হয় ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০ জানুয়ারি রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে শীতের তীব্রতা বাড়ায় দূর্ভোগ বাড়ছে ছিন্নমূল ও নিম্নআয়ের মানুষের। রোজ ভোরে নগরীর রেলগেইট এলাকায় বসে শ্রমিকের হাট। কথা হয় দিনমজুরদের সঙ্গে। তারা জানায়, শীত ও বৃষ্টির কারণে কয়েকদিন ধরে কাজ নেই। অনেকেই অলস বসে থাকছেন। অনেকেই আবার কাঙ্খিত মজুরি পাচ্ছেন না।

আয়ে টান পরেছে ওই এলাকার ভাসমান ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের। বৃষ্টিতে দোকান মেলতে পারছেন না তারা। আবার লোকজন কম থাকায় এই পরিস্থিতি বলে জানিয়েছেন তারা।

জানুয়ারি ২৪.২০২১ at ১৭:০৩:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মারারা/রারি