ওমিক্রন আক্রান্তে কান্নায় ভারি হচ্ছে হাসপাতালগুলো

হাসপাতালগুলো ফের ভারি হচ্ছে স্বজনের কান্নায়

দাপিয়ে বেড়ানো করোনার নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্টে নাজেহাল বিশ্বব্যাপী। বর্তমানে দেশে করোনার সংক্রমণ আবারও ঊর্ধ্বমুখী। করোনায় মৃত্যু, নতুন রোগী ও নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার সবই বাড়ছে।ওমিক্রন আক্রান্তদের জটিলতা অপেক্ষাকৃত কম বলা হলেও ঝুঁকিতে বয়স্কসহ দীর্ঘমেয়াদি জটিল রোগে আক্রান্ত মানুষজন। সময়ের সঙ্গে হাসপাতালে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এমন রোগী ভর্তির সংখ্যা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওমিক্রন বাড়ার পাশাপাশি ডেল্টা রয়ে যাওয়ায় ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের জন্য প্রয়োজন বাড়তি সতর্কতা।

করোনা মহামারিতে কয়েক মাস কিছুটা স্বস্তিদায়ক গেলেও বর্তমানের চিত্র পুরোটা বদলে গেছে। ফের স্বজনের কান্নায় ভারি হয়ে উঠছে হাসপাতালগুলো। পুত্র সন্তান জন্মের ছয় দিন পর মারা যায় নবজাতক। নানা জটিলতা দেখা দেয়ায় মা ফাতেমাতুজ জোহরাকে নিয়ে আসা হয় ঢাকায়। শনাক্ত হয় করোনা। শ্বাসকষ্ট বাড়লে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে নেয়া হয় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে।

আরো পড়ুন:
শিবচরে স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক ১
ঘোড়াঘাটে বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাহারুল ইসলাম বাবুর রাষ্ট্রীয় র্মাদায় দাফন

রাজধানীর এ হাসপাতালে ৩০০ শয্যার বিপরীতে ভর্তি ২২১ রোগী। আইসিইউর ১০টি শয্যাই পরিপূর্ণ। বাড়ছে উপসর্গ নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর সংখ্যাও।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রিদওয়ান উর রহমান বলেন, এটা ঠিক ডেল্টাতে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয় এবং মারা যায় ওমিক্রনে কম। কম মানে হয় না এটা আবার নয়। তাহলে ডেল্টা যদি এক হাজার হয় সেখানে ১০ জন মারা যাবে, কিন্তু ওমিক্রন তো একসঙ্গে ১০ লাখ হয়ে যাবে, তখন কিন্তু মৃত্যুর নাম্বারটা কাছাকাছি চলে আসতে পারে। সংকট মোকাবিলায় ঝুঁকিপূর্ণ নাগরিকদের বুস্টার ডোজ গ্রহণ ও হাসপাতালগুলোকে বিশেষ প্রস্তুতি নেয়ার পরামর্শ তার।

জানুয়ারি ২৩.২০২২ at ১৬:১১:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/সনি/জআ