অভয়নগর-মণিরামপুরের সীমান্তবর্তী টেকা নদী বন্ধ করে ব্রিজনির্মান

অভয়নগর- মণিরামপুরের সীমান্তবর্তী টেকা নদী বন্ধ করে টেকা ব্রিজ পূন:নির্মান করার প্রস্তুতি চলছে। জলাবদ্ধাতার আশংকা ভবদহ বাসির মুখে এখন এই প্রশ্ন কেন টেকা নদী বন্ধ করে ব্রিজ নির্মাণ। তারা ভবদহ অভিযোগ বলেন, টেকানদী বন্ধকরে দিলে ডুবে মরবে ভবদহ উত্তর অঞ্চলের বাসিন্দারা। তাদের দাবি, টেকানদী নিয়ে ভবদহ অঞ্চলের পানি প্রবাহিত হয়ে ভবদহের ৩৫ গেট দিয়ে বের হয়ে শ্রী নদীতে পড়ে।

এখন টেকা ব্রিজ পুন:নির্মান করতে টেকা নদী আটঁকিয়ে দেয়া হয় । তাহলে ভবদহ অঞ্চল বাসি ডুবে মরবে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, টেকা ব্রিজপুণ:নির্মান করতে টেকানদীতে বাঁধ দিয়ে, যে খাল কেটে তার উপর দিয়ে বেইলি ব্রিজ নির্মান করা হবে। শিক্ষক গোপাল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ট্রেকা ব্রিজ নির্মাণ করতে দুই-তিন বছর সময় লাগবে, এই দুই-তিন বছর ভবদহের গেট দিয়ে পানি প্রবাহ প্রায় বন্ধ হয়ে যাবে। তাছাড়ও টেকা ব্রিজ নির্মান করতে টেকা নদী না আটকিয়ে স্টিল ব্রিজ নির্মান করলে, পানি চলাচলে কোন অসুবিধা হবে না।

সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, টেকা ব্রিজ এর ৫০মিটার উত্তরে বাঁশের বাঁধ দেয়া হয়েছে। এ বাঁধ দেয়ার কারণে কচুরিপানা এসে বাঁধের গায়ে চাপ দিচ্ছে, যে কারণে এই বাঁধে এখনই পানি প্রবাহ বাঁধা সৃষ্টি করছে। এর মধ্যে বালি ভরাট করলে পানি বন্ধ হয়ে ভবদহ অঞ্চল বাসির জন্য ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। এ ব্যাপারে টেকা বাজারের ব্যবসায়ী শংকর রায় বলেন, এই টেকা নদী বন্ধ করে দিলে টেকা নদীর পাড়ের বাসিন্দা সহ ভবদহ অঞ্চলবাসি এ বছর বর্ষা মৌসুমে ডুবে মরবে।

আরো পড়ুন :
রাজশাহীতে ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার
রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৩

চলিশিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মশিয়ার গাজী বলেন, এখন টেকা নদী বন্ধ করে দিলে ভবদহের গেট দিয়ে যত টুকু পানি যাচ্ছিল তা আর যাবে না। তাহলে পানির চাপে আমাদের রোপনকৃত বোরো ধান ডুবে যাবে। এ ব্যাপারে মণিরামপুরের ১৫নং কুলটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখর চন্দ্র রায় বলেন, টেকা ব্রিজপুন:নির্মান করতে যেয়ে টেকা নদী বন্ধ করে দিয়ে জল সরানোর জন্য ৩ফুট মত জায়গা রাখলে হবে না। তাহলে ভবদহ অঞ্চলবাসির জন্য জলাবদ্ধতা ভয়াবহ রূপ নেবে।

তাই উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি, পর্যাপ্ত পানি সরানোর ব্যবস্থা রেখে টেকা নদীতে বাঁধ দেয়া হোক। এব্যাপারে কাজের লাইন ম্যান রেজাউল ইসলাম বলেন, টেকা ব্রিজপূন:নির্মান করতে টেকা নদীতে বাঁধ দিয়ে নদী বন্ধ করে পশ্চিম পাশ দিয়ে খাল কেটে তার উপর দিয়ে বেইলি ব্রিজ নির্মান করে দেয়া হবে। এব্যাপারে মণিরামপুর উপজেলা প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার দাস বলেন, বিষয়টি আমাদের নলেজে এসেছে।

ওরা যেভাবে করতে চাচ্ছে ওভাবে হবে না। পানি প্রবাহ সচল রেখে টেকা ব্রিজ নির্মান করতে হবে। এ ব্যাপারে যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তাওহিদুল ইসলাম জানান, আমরা টেকা নদী বন্ধ করতে নিষেধ করেছি। কমপক্ষে ১৫ ফিট নদী ফাঁকা রেখে পানি প্রবাহ সচল রাখতে হবে।

জানুয়ারি ২১.২০২১ at ১৯:১৮:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/জাহোহৃ/রারি