চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমু (৩৫) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার স্বামী নোবেল ও লাশ গুমের ঘটনায় নোবেলের বন্ধু ফরহাদের সংশ্লিষ্টতার কথা জানতে পেরেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার তথ্য জানান ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মারুফ হোসেন সরদার।
শিমু সিনেমায় আত্মপ্রকাশ করেছিলেন ১৯৯৮ সালে। ২০০৪ সাল পর্যন্ত নিয়মিত বড় পর্দায় দেখা গেছে তাকে। প্রথম সারির পরিচালকদের সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন শিমু। গত কয়েক বছর ধরে তিনি নাটকের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
শারীরিক প্রতিবন্ধকতা জয় করে শিলা এখন কলেজের পথে
এসপি মারুফ বলেন, এই ঘটনার পর আমরা শিমুর স্বামী নোবেল ও বন্ধু ফরহাদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনি। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের সংশ্লিষ্টতা প্রতীয়মান হওয়ায় তাদের গ্রেফতার করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক ও দাম্পত্য জীবনে কলহ থাকায় তাকে (শিমু) হত্যা করা হয়েছে বলে জানায় নোবেল। আর হত্যার পর লাশ গুমে সে বন্ধু ফরহাদের সহযোগিতা নেয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নোবেল তার স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। দুদিন নিখোঁজ থাকার পর সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে কেরানীগঞ্জের হযরতপুর ব্রিজের কাছ থেকে অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
জানুয়ারি ১৮.২০২২ at ১৬:০১:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/সনি/জআ