ফুলবাড়ীতে মরিচের বাম্পার ফলন, দাম কম থাকায় হতাশ চাষিরা

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলে মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে । তবে দাম কম থাকায় উদ্বিগ্ন প্রান্তিক চাষীরা। উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে মাঠজুড়ে শোভা পাচ্ছে কাঁচা পাকা মরিচ। উপজেলা হাট বাজারগুলোতে মরিচ সরবরাহ থাকায় তেমন দাম নেই বললে চলে।

কিছু চাষি উৎপাদন খরচ তুলতে পারলেও অধিকাংশ কৃষক মুল টাকা তুলে পারেনি এখনো। তাই মরিচের ভরা মৌসুমে দাম কম থাকায় মাথায় হাত চাষীদের। দাম কম থাকলেও তারপরও কিছু চাষী মরিচ তুলে বাজারে বিক্রি করেছেন। উৎপাদন ভালো কৃষকের মুখে হাসি ফুটলেও দাম কম থাকায় চরম হতাশ চাষিরা।

উপজেলার গজেরকুটি, বালাহাট, নাওডাঙ্গা, গোরকমণ্ডপ, চরগোড়ক মণ্ডল, বালাটারী কুরুষাফেরুষা এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, কৃষকরা অধিক লাভের আশায় শতশত বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছেন। যাদের নিজস্ব জমি নেই তারাও অন্যের জমি লিজ নিয়ে মরিচ চাষ করেছেন। দাম কম হওয়ায় উৎপাদন খরচ উঠছে না কৃষকের।

আরো পড়ুন:
গোমস্তাপুরে যুবকের আত্মহত্যা
ভাঙ্গুড়ায় ফসলি জমিতে পুকুর খননের মহোৎসব

উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের গজেরকুটি এলাকার মরিচ চাষি মজির হোসেন জানান, তিনি প্রতি বছর ৫ থেকে ৭ বিঘা জমিতে মরিচের আবাদ করেন। এ বছরও তিনি পাঁচ বিঘা জমিতে মরিচের আবাদ করেছেন। প্রতি বিঘা মরিচ চাষ করতে কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়। দাম কম থাকায় উৎপাদন খরচ উঠছে না। কৃষক মজিবর বলেন, ১০ থেকে ১৫ বছর থেকে মরিচ চাষ করে আসছি প্রতিবছর খরচ মিটিয়ে লাভ হয় কিন্তু এবছর মরিচের দাম নেই বললেই চলে ,প্রতিবছর খেতেই বিক্রি করি প্রতি মন ১ হাজার থেকে ১হাজার ৫ শত টাকা করে বর্তমানে মরিচের বাজার মন ৬০০ থেকে ৭০০ শত টাকা করে, তাই দাম না থাকায় এবার খেতে মরিচ বিক্রি করতে পারি না। এবার উৎপাদনের খরচ তো দূরের কথা লোকসান গুনতে হবে। একই এলাকার কৃষক মনু মিয়া ও আমজাদ হোসেন সহ মরিচের দাম ভালো না থাকায় দুশ্চিন্তা করছে চাষীরা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াছমিন জানান, অনুকূল আবহাওয়া ও সঠিক পরিচর্যায় এবার মরিচের আবাদে কোনো প্রকার রোগ বালাই আক্রমণ নেই। ফলে বাম্পার ফলন হয়েছে। এ বছর উপজেলায় ৯০ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষাবাদ হয়েছে। তবে বর্তমানে মরিচের দাম কিছুটা কম। যারা আগাম মরিচ চাষ করেছেন তারা লাভবান হয়েছেন।

জানুয়ারি ১৩.২০২২ at  ২০:৫২:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/বম/মরই