বগুড়ার শিবগঞ্জে ধাওয়াগীর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে অতিরিক্ত সেশন ফি নেওয়ার অভিযোগে ছাত্র শিক্ষকদের বাকবিতন্ডতা ৩ দফায় সংঘর্ষ, বহিরাগতদের স্কুলে হামলায় ২২ শিক্ষার্থী আহত ইউএনও বরাবরে অভিযোগ।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে ৯ জানুয়ারি উপজেলার শিবগঞ্জ ইউনিয়নের ধাওয়াগীর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯ম, শ্রেণির ছাত্র মীম মাছাদ স্কুলে সেশন ফি দিতে গেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ তার নিকট থেকে অতিরিক্ত ৪৫০ টাকা দাবী করলে শিক্ষার্থীর সঙ্গে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম মর্তুজার সঙ্গে বাক বিতন্ডা সৃষ্টি হয়।
ঘটনার জের ধরে ওই দিন বিকেল ৩টার দিকে ২য় দফায় ধাওয়াগীর মাঠে মীম ও জিসান নামের ২ শিক্ষার্থীদের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরদিন ১০ জানুয়ারি দূপূর ১২টার দিকে ৩য় দফায় বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালীন সময় উক্ত ঘটনার জের ধরে জিসান তার বাবাকে ফোনে বলেন গতকাল আমাকে যারা মারপিট করেছে তারা স্কুলে এসেছে।
বাবা আব্দুল বাছেদ ও স্থানীয় ইউপি সদস্য তোজাম্মেল হোসেনসহ বেশ কিছু বহিরাগতদের সঙ্গে নিয়ে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে। এক পর্যায়ে বিদ্যালয়ের ২য় তলায় ক্লাস রুমে ঢুকে অতর্কিত হামরা চালায়। এ সময় শিক্ষার্থীরা হামলাকারীদেরকে বাঁধা প্রদান করলে বহিরাগত লোকজন বেপরোয়া ভাবে শিক্ষার্থীদেরকে মারপিট করে আহত করে। আহতরা হলেন ৯ম শ্রেণির ছাত্র মীম, রেজাউল হোসেন, বিপুল, ইব্রাহীম, জুয়েল, সৌরভ, সাওন সহ ২২ জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়।
এব্যাপারে ৯ম শ্রেণির ছাত্র রেজওয়ান হোসেন রাহুল এর বাবা রানা বাবু’র সাথে কথা বললে তিনি বলেন, গত ১৩ জানুয়ারি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ বিভিন্ন দপ্তরে মারপিটের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের জন্য লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। তিনি আরো বলেন সরকারি বই বিনামূল্য দেওয়ার কথা অথচ সেশন ফি এর নামে অতিরিক্ত ৪৫০ টাকা প্রধান শিক্ষক দাবী করায় এই ঘটনার সূত্রপাত ঘটে।
বহিরাগতরা আমাদের সন্তানদের মারপিট করে আহত করলেও প্রধান শিক্ষক কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেন নি। প্রধান শিক্ষকের যোগ সাজসে বহিরাগত হামলা চালিয়ে আমার সন্তান কে সহ ২২ জন শিক্ষার্থীদের মারপিট করেছে। এব্যাপারে অভিভাবক মিলন সরদার, সাহাবুল ইসলাম ও গোলাম রব্বানী বলেন, প্রধান শিক্ষক সেশন ফি’র নামে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার জন্য এবং প্রধান শিক্ষকে কিছু ভাড়াটিয়া লোকজনের কারণে এ সংঘাতের ঘটনা ঘটে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে কুলসুম সম্পা বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য ইতিমধ্যে উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তাকে নিদের্শন প্রদান করা হয়েছে। এব্যাপারে প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম মর্তুজার সাথে ১২.৩০টার সময় মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে মোবাইল রিসিভ করেননি।
জানুয়ারি ১৪.২০২১ at ২০:৩৮:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমডিসা/রারি