সুমন মিয়ার হাঁস পালনে অন্যরকম সফলতার গল্প

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে প্রবাস ফেরত সুমন মিয়ার দিন বদলেছে হাঁস খামার করে। অভাবের সংসারে এসেছে স্বচ্ছতা। তবে প্রাণীসম্পদ বিভাগের সহযোগিতা পেলে আরো বেশি লাভবান হওয়া সম্ভব বলেও জানান খামারী সুমন মিয়া।

উপজেলার রমনা ইউনিয়নের খন্দকার পাড়ার বাসিন্দা এমদাদুল হকের ছেলে সুমন মিয়া(২৮)। অভাবের সংসারে বোঝা টানতে পাড়ি দেন বিদেশে। দীর্ঘ ৪বছর দুবাই থেকে দেশে এসে গত দুই বছর আগে ৫০হাজার টাকা দিয়ে ৪’শ খাকি ক্যাম্বেল হাঁস দিয়ে শুরু করেন হাঁস পালন। তবে শুরুতেই যেন স্বপ্ন ভেঙে যাওয়ার উপক্রম। ৪শ হাঁসের মধ্যে ৩শ হাঁসই মারা যায়। তবে কঠোর পরিশ্রম করে বর্তমানে হাঁস পালনে স্বাবলম্বী হয়েছেন সুমন।

সরেজমিনে খামার পরিদর্শন শেষে সুমন মিয়ার সাথে কথা বলে জানান যায়, দুই বছর আগে হাঁস পালন শুরু করেছেন। বর্তমানে তার খামারে আছে ২৫০টি খাকি ক্যাম্বেল হাঁস। হাঁসের খামার থেকে প্রতিদিন ১৫০ থেকে ১৬০ টি করে ডিম পান। বর্তমানে ১০০ডিম বিক্রি করেন ১২শ টাকা করে। এতে প্রতি মাসে আয় হয় প্রায় ২৫/৩০হাজার টাকা। এতে স্ত্রী সন্তান নিয়ে অনেক ভালই কাটছে দিন।

আরো পড়ুন:
মণিরামপুর দোলখোলা মন্দিরে লেখক ভট্টাচার্যের পক্ষে কম্বল বিতরণ
কাহালুতে তিনদিনে ৫ হাজার ৭১৪ শিক্ষার্থীকে করোনার টিকা প্রদান

খামারী সুমন মিয়া বলেন, যদি উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে আমাকে সহযোগিতা করত তাহলে ভালো হত। এর আগে অনুদানের জন্য নাম নিলেও পরে বাদ যাই।

এবিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাশিদুল হক বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিলো না পরবর্তীতে কোন প্রকার সাহায্য সহযোগিতা আসলে অবশ্যই করব।

জানুয়ারি ১২.২০২২ at ১৯:৪৮:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/ফহ/জআ