চিলমারীতে চলাচলের ব্রিজ যখন মরণ ফাঁদ

দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে রানীগঞ্জ ইউনিয়ন এর নাওরার পাড় খালের উপর নির্মিত এই ব্রিজটি ভেঙ্গে পড়ার কারণে যাতায়াতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে রয়েছে নাওয়ার পাড় ও মজাইটারি গ্রামের বাসিন্দারা।

দ্রুত রাস্তা ও ব্রিজ সংস্কারের দাবি জানান ওই এলাকার লোকজন জানাগেছে, চিলমারী উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের মজাইটারি ফারিয়ার মোর হইতে নাওয়ার পাড় পর্যন্ত রাস্তায় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের তত্ত্বাবধানে সেতু নির্মাণ করেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সূত্র অনুযায়ী ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে সেতুটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ৩২ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা সেতুটি নির্মাণের সময় নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করায় নির্মাণের বছর না পাড় হতেই বন্যার পানির স্রোতে রাস্তা ও ব্রিজ ভেঙ্গে যায়।

এতে এলাকার লোকজনের চলাচলের জন্য সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া খালের দু’পাড়ের মজাইটাটি, ফকিরের হাট, নওরারপাড়া,গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। স্কুল ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীসহ চিলমারী সদরে যাতায়াতের জন্য ব্রিজটি সহজ মাধ্যম হওয়ায় অনেকেই ঝুঁকিপূর্ণ এই ব্রিজটি দিয়ে যাতায়াত করছে। এরফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।

আরো পড়ুন :
সিরাজগঞ্জে ১৭ কেজি গাঁজাসহ ১ মাদক কারবারী গ্রেফতার
হেরোইন পাচারের অভিযোগে হাওড়া স্টেশন থেকে দু’জনকে গ্রেফতার

ভাঙ্গা এই ব্রিজটি পাড় হতে গিয়ে খালে পরে আহত হয়েছেন অনেকে। মজাইটারি গ্রামের বাসিন্দা আজাহার আলি জানান, ৫-৬ মাস ধরে আমাগো এই ব্রিজটা ভাইঙ্গে পড়ে রইছে। এই গ্রামের মানুষ যাতায়াতে অনেক কষ্ট হয়, আমরা বাচ্চ-কাচ্চা নিয়ে যাতায়াত করতি পারি না। এইডা হচ্ছে আমাগো রাস্তা, এইখান দিয়ে অনেক লোক যাওয়-আসা করে। আপনারা যদি পারেন, দয়া করে এই পুলটা ভালো করে দেন। আমরা অনেকেরে জানাইছি, তারা সমাধান কিছু করে না”।

একই গ্রামের সাজেদা বেগম বলেন, “বন্যায় পানির ধাক্কা মেরে এই ব্রিজটা ভাইঙ্গে থুইয়ে যায়। আমরা মেম্বার-চেয়ারম্যান সবাইরে জানাইছি, কিন্তু কেউ কোন গুরুত্ব দিচ্ছে না। এই ব্রিজটির উপর দিয়ে স্কুলগামি বাচ্চারা যাতায়াত করে”।

ফকিরের হাট গ্রামের বাচ্চু মিয়া বলেন, “প্রায় ৫ বছর ধইরে ভাইঙ্গে এই ব্রিজটা অকেজো হয়ে রইছে, আমরা যে কি কষ্টে যাতায়াত করতিছি। চেয়ারম্যান-মেম্বারদের এত বলিছি, তারা কোন কর্ণপাত করে না। আমাগো এই যে তিনডে-চাইরডে গ্রামের লোকজনের রাস্তা একটা। অনেক মানুষ এই জাগাদে পইরে হাত-পাও ভাঙ্গিছে”।

চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানানেই। তবে সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলেন।

জানুয়ারি ১১.২০২১ at ১৫:৩৭:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/ফহ/রারি