মুক্তিযোদ্ধার ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

নির্বাচনে হেরে মুক্তিযোদ্ধার ওপর হামলার প্রতিবাদে নেত্রকোনার মদনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্টিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনের প্রধান সড়কে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ও সন্তান কমান্ড কাউন্সিলের আয়োজনে ঘন্টা ব্যাপি এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। পরে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে এক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্টিত হয়।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযুদ্ধা হাবিবুর রহমান মাস্টার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত দে, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল এর ডেপুটি কমান্ডার গাজী ফেরদৌস আলম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি লিটন বাঙ্গালী, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি মো. জাকির হোসেন প্রমূখ।

বক্তারা বলেন, পঞ্চম ধাপে উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নে অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য কিছু কুলাঙ্গার দাঙ্গা-হাঙ্গামা করছে। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধার ওপর হামলা করে দেউলিয়াত্বের প্রমাণ করেছে। বক্তারা পুলিশ প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলেন, আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে তোফায়েলকে গ্রেপ্তার করতে হবে। অন্যথায় আরও কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে। এই কুলাঙ্গারকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

আরো পড়ুন :
বীরগঞ্জে সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা, কৃষকের মুখে আনন্দের হাসি
বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরল ২১ শিশু-কিশোর

এ ছাড়া মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন তিয়শ্রী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুকুট মিয়া, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল তালুকদার, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুব্রত হাসান তুর্জয়, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা মনোয়ার হোসেন মুন্না, টিপু ইসলাম সোহাগ ও আওয়ামী লীগের অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

মদন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ পদত্যাগ করে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে তিয়শ্রী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন। ওই ইউনিয়নের নৌকার মনোনীত প্রার্থী হয় বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবুর রহমান। তোফায়েল এর নিজ বাড়ি ধুবাওয়ালা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা হেলাল উদ্দিন তালুকদার নৌকা প্রার্থীর পক্ষে প্রচরণা করায় দু-পক্ষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

৫ জানুয়ারী তোফায়েল আহমেদ নৌকার প্রার্থীর কাছে পরাজিত হলে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। শুক্রবার সকালে মুক্তিযোদ্ধা হেলাল উদ্দিন তালুকদার বাড়ি থেকে বের হলে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী তোফায়েল তার লোকজন নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় তোফায়েল এর দুইজন ও হেলাল উদ্দিন তালুকদারে ৭ জন লোক আহত হয়। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম বলেন, হামালার ঘটনায় পরাজিত প্রার্থী তোফায়েলসহ তার লোকজনের বিরুদ্ধে থানায় দুইটি মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

জানুয়ারি ০৮.২০২১ at ১৫:৪৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/আআ/রারি