ওমিক্রন: পুলিশের জন্য ২১ নির্দেশনা

সম্প্রতি ওমিক্রন বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশেও এর প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ওমিক্রন প্রতিরোধে প্রত্যেক পুলিশ সদস্যদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত এবং করোনার নতুন ধরণ ওমিক্রন প্রতিরোধের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বুধবার (৫ জানুয়ারি) পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (অপারেশনস-২) মোহাম্মদ উল্ল্যা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ২১টি নির্দেশনা দেওয়া হয়।

নির্দেশনাগুলো হলো-
১. প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে দ্রুত সময়ের মধ্যে কোডিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ ও নন-পুলিশ সদস্যদের ভ্যাকসিন গ্রহণ নিশ্চিত করবেন।
২. ডিউটি পালনকালে কিছু সময় পর পর হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে এবং নিয়মিত ডিউটি শেষে সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে।
৩. কোডিড-১৯ (ওমিক্রন) উপসর্গ দেখা দিলে আইসোলেশন সেন্টারে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
৪. প্রত্যেক পুলিশ সদস্য ডিউটি পালনের সময় অবশ্যই মাস্ক, গ্ল্যাভস, হেডকভার, ফেসশিল্ড পরতে হবে।

৫. পুলিশের সব ইউনিটে ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ এবং ’নো মাস্ক নো এন্ট্রি’ নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে।
৬. ডিউটিরত সব ক্ষেত্রে শারীরিক দূরত্ব (কমপক্ষে ৩ ফুট বা এক মিটার), হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
৭. সেবাগ্রহীতা ও দর্শনার্থীদের পুলিশ স্থাপনায় প্রবেশের ক্ষেত্রে শরীরের তাপমাত্রা নির্ণয় ও হাত ধোয়া বা স্যানিটাইজ নিশ্চিত করা।
৮. প্রত্যেক পুলিশ সদস্যের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী (মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ইত্যাদি) ব্যবহার নিশ্চিত করা।

৯.কোভিড-১৯ উপসর্গ দেখা দিলে কিংবা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে ছিল বা এসেছে এমন পুলিশ সদস্যদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোভিড পরীক্ষার ব্যবস্থা করা।
১০. ডিউটি শেষে আবাসস্থলে প্রবেশের পূর্বে ইউনিফর্ম ও জুতা ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত করা এবং সাবান দিয়ে গোসল করা।
১১. ডাইনিং রুম, ক্যান্টিন, বিনোদন কক্ষ, রোল কল, ডিউটিতে যাবার পূর্বে ও ডিউটি হতে ফেরার পরে, সমাবেশস্থলে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রীর ব্যবহার নিশ্চিত করা।
১২. অপারেশনাল কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র, হ্যান্ডকাফ, রায়ট গিয়ার, হ্যান্ডমাইক, মেটাল ডিটেক্টর, আর্চওয়ে ইত্যাদি যথাযথভাবে জীবাণুমুক্ত করা।

১৩. কোভিড-১৯ পজেটিভ সদস্যদের ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কেন্দ্রীয় বা বিভাগীয় অথবা জেলা পুলিশ হাসপাতাল ও স্থানীয় হাসপাতালে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।
১৪. জরুরি প্রয়োজনে রোগীকে অন্যত্র স্থানান্তরের ক্ষেত্রে ইউনিট ইনচার্জ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

আরো পড়ুন:
থানচিতে মালবাহী ট্রাক উল্টে চালকসহ আহত ৩
জাবি স্কেটিং ক্লাবের নতুন কমিটির নেতৃত্বে পাখি ও মোরশেদ

১৫. ইউনিট ইনচার্জ ও অন্য কর্মকর্তাদের নিজ ইউনিটের আক্রান্ত সদস্য ও তার পরিবারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা এবং সার্বিক সহায়তা প্রদান করা।
১৬. হাজতখানা জীবাণুমুক্ত রাখা এবং হাজতে থাকাকালীন কোনো ব্যক্তির কোডিড-১৯ এর লক্ষণ প্রকাশ পেলে অবিলম্বে তাকে পৃথক করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।
১৭. রেশন সামগ্রী, ওষধ ইত্যাদি সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিতরণের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করা।
১৮. কোডিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স কর্তৃক প্রণীত এসওপি এর নির্দেশনা অনুসরণ এবং রোলকলে সচেতনতামূলক ব্রিফিং প্রদান করা।

১৯. কোডিড-১৯ সংক্রাতে ইতোপূর্বে প্রেরিত নির্দেশনা যথাযথ ও আন্তরিকভাবে প্রতিপালন করবেন।
২০. প্রত্যেক পুলিশ ইউনিটে কর্মরত সকল সদস্যদের স্থানীয় স্বাস্থ্য প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়পূর্বক কোভিড-১৯ (বুস্টার ডোজ) ভ্যাকসিন গ্রহণে নিশ্চিত করতে হবে।
২১. কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী বিধায় সব পুলিশ সদস্য ও তাদের পরিবারবর্গকে অবশ্যই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।

জানুয়ারি ০৬.২০২২ at ২১:০৮:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/সনি/জআ