শীতে কাঁপছে কুড়িগ্রামের সাধারণ মানুষ

কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর রৌমারীসহ সীমান্তবর্তী দু’টি উপজেলায় প্রতিদিনই বেড়েই চলছে শীত। কয়েকদিন ধরে দেখা নেই সূর্যের। এতে করে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। আর শীতের তীব্রতায় কাঁপছে দুই উপজেলার নিম্ন আয়ের ছিন্নমূল মানুষ।

প্রতি বছরই শীতের তীব্রতা তুলনামূলকভাবে বেশি কুড়িগ্রামে। নতুন বছরের শুরুতেই শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে ওই দুই উপজেলার সাধারণ মানুষ। তবে সরকার থেকে যেসব ত্রাণের গরম কাপড় ও কম্বল বিতরণ করা হয়েছে তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম।

আরো পড়ুন:
খিলক্ষেতে গাঁজা ও মাইক্রোবাসসহ গ্রেফতার ১
জাল ভোট দিতে গিয়ে ৬ মাসের জেল

শীতের কারণে সন্ধ্যা থেকে প্রায়ই সারাদিন কুয়াশাছন্ন থাকছে এলাকার চারপাশ। ফলে রাত-দিন সমান অন্ধকারে কাটাচেছ দুই উপজেলার মানুষ। রাত হলেই শীতের কম্বল, লেপ ও কাঁথা মুড়ি দিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন এই এলাকার খেটে খাওয়া মানুষরা। মেঘলা আকাশ, মৃদু শীতের উপস্থিতি দেখা দিলে ক্ষণিকেই সব শ্রেণীর মানুষ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিতে দেখা যায়।

এ দিকে রাজিবপুর হাসপাতালে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রোগীর সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নতুন বছরের শুরুতেই রাতদিন কুয়াশা নামতে শুরু করে। রাতভর বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়তে থাকে।

গত মঙ্গলবার(০৪জানুয়ারী) রাজিবপুর হাট বাজারে দেখা যায়, গরম কাপড় ও মাফলার মুড়িয়ে প্রয়োজনীয় কাজ সেরে তাড়াহুড়ো করে বাড়িতে ফিরছেন মানুষ। বুধবার (০৫ জানুয়ারি) কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২-১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীতের এই তীব্রতা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকেই।

জানুয়ারি ০৫.২০২২ at ১৩:৩৪:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/নদ/মক