অনলাইন সংবাদমাধ্যমের খবর ও খবরে ছবি ব্যবহার

এস আর সেলিম

অনলাইন সংবাদমাধ্যমে খবরের সঙ্গে ছবি প্রকাশ করাটাও অপরিহার্য একটি বিষয়। সংশ্লিষ্ট খবরের ছবি পাওয়া না গেলে ফাইল ছবি, প্রতীকী ছবি অথবা সেই অঞ্চলের মানচিত্রের ছবি কিংবা খবরের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ গ্রাফিক্স জুড়ে দেয়া হয়। যা প্রিন্ট মিডিয়ার ক্ষেত্রে অতটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। যাই হোক এ প্রসঙ্গে যেটা বলতে চাচ্ছিলাম, মূলধারার অনলাইন সংবাদমাধ্যম এবং প্রিন্ট মিডিয়ার অনলাইন ভারসনে কোনো বীভৎস ছবি প্রকাশ করা হয় না। অবশ্য মূলধারার সংবাদমাধ্যমগুলো এই রীতি মেনে খবর প্রকাশ করলেও কয়েকটিতে মাঝেমধ্যে এর ব্যতিক্রমও দেখা যায়। সেই সময় নিউজ ডেস্কে কর্মরত থাকা সাব-এডিটর কিংবা অন্য কারো অনিচ্ছাকৃত ভুলে অথবা অজ্ঞতার কারণেও এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যতিক্রম হয়ে যেতে পারে বলে অামার ব্যক্তিগত ধারণা। সংখ্যাই কম হলেও মূলধারার গণমাধ্যমে যখন এ ধরনের ছবি প্রকাশ করা হয় তখন গোণায় পড়ে না এমন অনলাইন ‘সংবাদমাধ্যমের’ কী ভয়ানক অবস্থা হতে পারে তা খুব সহজেই অনুমান করা যায়।

ধরে নেই, কোনো দুর্ঘটনা অথবা অপঘাতে মৃত্যুর খবর অনলাইনে প্রকাশের জন্য যে কোনো একটি ছবি লাগবেই। এক্ষেত্রে মূলধারার সংবাদমাধ্যম তাদের অনলাইনে আসা খবরের সঙ্গে মারা যাওয়া ব্যক্তি অথবা ব্যক্তিদের প্রোট্রেট ছবি (সম্ভব হলে), তা না হলে তাদের অনলাইনে সেই কারেন্ট ছবি প্রকাশ করা হলেও বীভৎস অংশ ব্লার করে দেয়া হয়। কোথাও কোথাও স্বজনদের আহাজারির ছবিও প্রকাশ করা হয়। আর এগুলোই হচ্ছে অপরিহার্য হয়ে দাঁড়ানো ছবির সঠিক ব্যববার। তবে অজ্ঞতায় হোক আর যে কারণেই হোক হাতে গোণা দুয়েকটি ছাড়া সকল মেইনস্ট্রিম মিডিয়া মরদেহ বা লাশের ছবি প্রকাশই করে না। আর তাদের কাছে বীভৎস ছবি প্রকাশের প্রশ্নই ওঠে না। অন্যদিকে মারা যাওয়াদের নিয়ে প্রকাশিত, প্রচারিত খবরে গণমাধ্যমগুলো কেউ মরদেহ আবার কেউ লাশ হিসাবে উল্লেখ করে। যদিও ভিন্ন প্রসঙ্গ বা এখানে অপ্রাসঙ্গিক। তবে আগে লাশ শব্দটাই অধিকতর ব্যবহার করা হতো। সময়ের ফেরে এখন মরদেহ হিসাবে উল্লেখ করা হয়।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খড়গ মাথায় নিয়ে মূলধারার গণমাধ্যম খবর প্রকাশের রীতিনীতি মেনে যতদূর সম্ভব পেশাদারিত্বের সঙ্গে তাদের খবর পরিবেশন করে আসছে। অন্যদিকে প্রায় একই কিংবা কাছাকাছি নাম ও লোগো ব্যবহার করে কপি-পেস্ট করা ভুঁইফোঁড় অনলাইন মিডিয়াগুলো অনেক ক্ষেত্রে সাধারণ পাঠকদের কাছে বিপত্তির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের তোয়াক্কা না করে গড়ে ওঠা ভুঁইফোঁড়দের আগ্রাসনের ফলে সাধারণ পাঠকরা রীতিমতো বিভ্রান্তিতে পড়ে যান। তবে সচেতন পাঠকরা কোনটা আসল আর কোনটা নকল গণমাধ্যম তা মোটামুটিভাবে বুঝে নিতে পারেন।

আপাতত মূল প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাচ্ছি। আরেকটু পরে সেখানে আসছি। যদিও এই প্রসঙ্গটি অনেকের দৃষ্টিতে হয়তো গুরুত্বপূর্ণ নয়। কারণ, সাধারণ পাঠকরা অতটা সাতপাঁচ না ভেবে অনেকটা ভুঁইফোঁড়েই অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তারপরেও বলতে ইচ্ছা করছে। অবাধ তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে সারাদেশে যখন গ্রামে গ্রামে তথাকথিত ‘অনলাইন সংবাদমাধ্যম’ দেখা যাচ্ছে, তখন তার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে কোনো লাভ নাই। কিন্তু খোদ রাজধানী থেকে পরিচালিত বেশকিছু অনলাইন মিডিয়া একেবারেই দায়সারা কাজকাম করছে, যা এক রকম উদ্বেগের বিষয়। মেইনস্ট্রিম মিডিয়ার দিকে তারা শকুনের মতো তাকিয়ে থাকে। কোনো খবর মেইনস্ট্রিমে আসার সঙ্গে সঙ্গে কপি-পেস্ট হয়ে যায় তাদের তথাকথিত মিডিয়ায়। আন্ডার গ্রাউন্ড মিডিয়ার কথা বাদই দিলাম। কিন্তু মোটামুটি লাইম লাইটে থাকা বেশকিছু মিডিয়াও যখন কপির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে তখন উদ্বেগের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেয়। লোকবল সংকটের কারণে কপির আশ্রয় নেয়া হয় বলে মিডিয়াগুলোয় কর্মরতদের অনেককে বলতে শোনা যায়। কিন্তু তারা কপি করা সেই সব খবরের সূত্রও উল্লেখ করে না। পুরো ক্রেডিট নিজেরাই নেয়। তাদের ফলোয়ার সংখ্যাও কয়েক লাখ। অর্থাৎ অন্যের ওপর ভর করে নিউজ মার্কেটিং করে যাচ্ছে ওই অনলাইন ‘নিউজপোর্টালগুলো’। সুতরাং কোন মিডিয়া থেকে তারা নিউজ কপি করে নিজেদের নামে চালিয়ে দিচ্ছে তাও বোঝা খুব মুশকিল হয়ে যায়। এসব ক্ষেত্রে কপিরাইট আইনের প্রয়োগও খুব একটা চোখে পড়ে না বললেই চলে।

রাজধানী ঢাকা থেকে প্রকাশিত সংবাদপত্রকেই আমরা জাতীয় পত্রিকা বলি। কিন্তু সেই হিসাবে বিপুলসংখ্যক ‘জাতীয় পত্রিকা’ গুণগতমান ও সার্কুলেশনের দিক থেকে অনেক আঞ্চলিক পত্রিকার ধারে কাছেও টেকে না। সেই সব তথাকথিত জাতীয় পত্রিকার প্রতিনিধিরা যে ‘খবর’ তাদেরকে পাঠিয়ে থাকেন তা হুবহু প্রকাশ করে দেয়া হয়। যেখানে সারাদেশের একটি করে খবর ছাপতে গেলে কত পৃষ্ঠার দরকার হবে তা বলাই বাহুল্য, সেখানে একই এলাকার একাধিক খবর প্রকাশ হতে দেখা যায় সেই ‘জাতীয় পত্রিকায়’। এখন অনেকে প্রশ্ন তুলতে পারেন, একই এলাকার একাধিক খবর জাতীয় দৈনিকে আসতেই পারে তাতে সমস্যা কোথায়?। হ্যাঁ এই প্রশ্নের সঙ্গে পুরোপুরি একমত পোষণ করে বলতে চাই, একাধিক খবর আসাটা কিন্তু বিষয় নয়। একইদিনে আসা সেই ‘খবরগুলো’ কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ সেটাই মূল বিষয়। তাহলে এখান থেকেই সাধারণ পাঠকদের বুঝে নিতে হবে, এ ধরনের ‘দৈনিক পত্রিকা’ কোন মানের, তাদের পাঠক প্রিয়তা ও সত্যিকার অর্থে সার্কুলেশন সংখ্যা কত এবং কীসের ভিত্তিতে এগুলো চলে আসছে।

এবার মূল প্রসঙ্গটি একটু বলে যাই। যদিও মূল প্রসঙ্গ এই লেখার শুরুতেই টাস করা আছে। যা অনেকদিন ধরেই চোখে পড়ছে। আবার বলবো বলবো করে বলাও হয়ে উঠছিল না। সবচেয়ে বড় কথা আমার বলা না বলায় কারোরই কিছু যাবে আসবে না। এ কারণে বিষয়টি সামনে আনার প্রয়োজন মনে করিনি। আজ হঠাৎ কী মনে হলো তাই প্রশ্ন সমেত একটু বলার চেষ্টা করছি। বেশুমার ভুঁইফোঁড় অনলাইনে দেখা যায়, তারা রত্তাক্ত ও বীভৎস সব ছবি ‘খবরের’ সঙ্গে ছেড়ে দেয়। পরে রক্তাক্ত টাটকা ছবিসহ আসা সেই সব ‘আকর্ষণীয় খবরের’ লিঙ্ক ফেসবুকে পোস্ট করেন তারা। উদ্দেশ্য, বেশি বেশি লাইক শেয়ার অর্জন করা। তবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ অটোমেটিক সেগুলো ঢেকে দেয়। কিন্তু লিঙ্কের ভেতরে প্রবেশ করার আগেই সেখানে বলা থাকে, আপনি সেটা দেখতে চান কিনা। দেখতে চাইলে লিঙ্কে টাস করলেই চোখের সামনে চলে আসে সেই সব বীভৎস ছবি।

আমার প্রশ্নটা হচ্ছে, কোনো মরদেহ কিংবা লাশের ছবি অনলাইন ‘সংবাদমাধ্যমে’ কেন প্রকাশ করতে হবে, তাও আবার বীভৎস ছবি?। এসব ক্ষেত্রে প্রোট্রেট ছবি, ফাইল ছবি, ঘটনাস্থলের ছবি, স্বজনদের আহাজারির ছবি, পুলিশি অ্যাকশন বা তৎপরতার ছবি এবং প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট এলাকার থানার ছবি, ইত্যাদি- ব্যবহার করলেই তো চলে। আগেই বলেছি, ছবি ছাড়া অনলাইন নিউজপোর্টালের খবর আসলেই বেমানান দেখায়। কোনো ছবিই না পেলে শেষমেষ সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমগুলো অন্তত নিজেদের লোগো খবরের সঙ্গে ব্যবহার করে। অাকর্ষণীয় ছবিহীন খবর ফেসবুকে পোস্ট করলেও সাধারণমানের পাঠকরা খুব একটা লিঙ্কের ভেতরে প্রবেশ করতে চান না। যে কোনো একটি ছবি ব্যবহার করা অনলাইনের ক্ষেত্রে বাঞ্ছনীয় হয়ে পড়ে। অনলাইনে আরেক শ্রেণির পাঠকের জন্য আবার হেডিংয়েও আকর্ষণ সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়।

যাই হোক হয়তো কারো মতে এতক্ষণ উল্টাপাল্টা কথাবার্তা রলে গেলাম। প্রিয় পাঠকদেরও আর ধৈর্যচ্যুতি ঘটাবো না। একটা মজার বিষয় শেয়ার করে শেষ করবো। যদিও ঘটনাটি নিঃসন্দেহে দুঃখজনক। তবে সেই জন্য ঘটনা না বলে ‘বিষয়’ হিসাবেই উল্লেখ করা হলো। গত ৩০ ডিসেম্বর এসএসসির ফল প্রকাশের পর পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে ফারিয়া আক্তার লিমা (১৬) নামে এক পরীক্ষার্থী নিজ বাড়িতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে। সে দৌলতপুর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে অংশ নিয়েছিল। এই খবরটির সঙ্গে একেকটি সংবাদমাধ্যম একেক রকম ছবি প্রকাশ করেছে। তবে আমি নিশ্চিত, মরদেহের ছবি পেলেও কেউ কেউ প্রকাশ করত। কিন্তু সেটা না পাওয়ার কারণে এই দুঃখজনক ঘটনায় একটি অনলাইন ‘সংবাদমাধ্যমে’ আসা খবরটির প্রতীকী ছবিতে হাস্যকর উপাদান বেরিয়ে এসেছে। ওই খবর যে ব্যক্তি আপ করেছেন তিনি আসলে ‘রাতকানা’ কিনা তা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলতে পারেন।

বিষয়টি হচ্ছে, পরীক্ষার রেজাল্ট পাওয়ার ঘণ্টা দুয়েক পরেই আত্মহননকারী ওই পরীক্ষার্থী স্থানীয় একটি প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের মেয়ে। তবে সে একজন নারী হওয়া সত্ত্বেও তার আত্মহত্যার খবরটির সঙ্গে জুড়ে দেয়া প্রতীকী ছবিতে একজন পুরুষকে দেখানো হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, লাখো ফলোয়ারের ঢাকার সেই ‘অনলাইন মিডিয়ায়’ যারা নিউজ পাবলিশের দায়িত্ব পালন করেন তাদেরও কী এই সাধারণ বিষয়টি নজরে আনার সক্ষমতা ছিল না?। নাকি গোঁজামিল দিয়ে যেভাবে চলছে চলুক, এই নীতির ওপরেই ভরসা করে চালিয়ে নিচ্ছেন। সাধারণ পাঠকের অসচেতনতার সুযোগ নিয়ে এ রকম বেশুমার তথাকথিত নিউজপোর্টাল অনলাইনের বিরাট একটা বাজার দখল করে রেখেছে।

ইতোমধ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সারাদেশের অনলাইন নিউজপোর্টাল ও প্রিন্ট মিডিয়ার অনলাইন ভারসনের নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করেছে। নিবন্ধন প্রাপ্তির জন্য মন্ত্রণালয়ে অনেক আগেই যেসব অনলাইন নিউজপোর্টাল এবং ডিএফপি তালিকাভুক্ত বিভিন্ন দৈনিকের অনলাইন ভারসন থেকে আবেদন করা হয়েছে প্রথম পর্যায়ে সেগুলোর মধ্যে কিছুসংখ্যক নিবন্ধনের আওতায় আনা হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে। এখন ধাপে ধাপে অন্যগুলোকেও নিবন্ধনভুক্ত করা হচ্ছে। অনেক নিউজপোর্টাল নতুন করে নিবন্ধনের আবেদন করছে। তবে এ পর্যন্ত নিবন্ধনের জন্য নতুন পুরনো মিলে সারাদেশ থেকে কত হাজার আবেদন জমা পড়েছে এর সঠিক হিসাব এই মুহূর্তে জানা নাই। নিজ জেলা কুষ্টিয়া থেকে প্রকাশিত দুটো প্রিন্ট মিডিয়ার অনলাইন ভারসন ইতোমধ্যে নিবন্ধিত হয়েছে। এই পত্রিকা দুটো হচ্ছে, দৈনিক দেশতথ্য এবং দৈনিক কুষ্টিয়া। পুরো নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে কত বছর সময় লাগবে তাও জানা নাই। খুব শিগগিরই এই নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ করার পাশাপাশি ভুঁইফোঁড় নিউজপোর্টালগুলোকে শনাক্ত করে দ্রুত সেগুলো বন্ধ করে দিতে হবে।

সম্প্রতি সাংবাদিকদের এক অনুষ্ঠানে সুখবর দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, সাংবাদিকদের কল্যাণে খুব শিগগিরই গণমাধ্যমকর্মী আইন পাস হতে যাচ্ছে। আইনমন্ত্রী এর যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছেন। আগামী সংসদ অধিবেশনে এটি উপস্থাপন করা হবে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ একই সঙ্গে মন্তব্য করেছেন, আসল সাংবাদিকের চেয়ে নকল সাংবাদিকে উপজেলা সয়লাব হয়ে গেছে। বাস্তব সত্যি কথাটাই বলেছেন মন্ত্রী। শুধু আমাদের মতো মফস্বলে কর্মরত সাংবাদিকরাই নন, মন্ত্রীর এই মন্তব্যের মাধ্যমে দেশের সকল পর্যায়ের সাংবাদিকদেরই প্রতিধ্বনি উঠে এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

এসব নকল সাংবাদিক তৈরির পৃষ্ঠপোষকদের পাশাপাশি নকল সাংবাদিকদের চিহ্নিত করে তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা দরকার। যদিও কাজটি খুব সহজসাধ্য নয়। তারপরেও সাংবাদিকতার মহান পেশাকে কলুষমুক্ত করতে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার বিকল্প নাই। নীতিমালা অনুযায়ী সঠিকভাবে গণমাধ্যমগুলো পরিচালিত হলে সারাদেশে অপসাংবাদিকতার জঞ্জাল অনেকাংশে দূর হয়ে যাবে। নামসর্বস্ব সাংবাদিকদের বেপরোয়া কর্মকাণ্ডে প্রকৃত সাংবাদিকরা মানুষের কাছে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে ফেলতে বসেছেন। সুতরাং সবার আগে এই সাংবাদিক নামধারী ব্যক্তিদের আগ্রাসনের বিপক্ষে শক্ত অবস্থান নিতে হবে। একই সঙ্গে সাংবাদিকরা যাতে মুক্ত পরিবেশে পুরোপুরি পেশাদারিত্বের সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হন সে জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে- ইংরেজি নতুন বছরের শুরুতে এই প্রত্যাশা রাখছি। সবাইকে নববর্ষের ‘বিলম্বিত’ শুভেচ্ছা।

❑ লেখক : এস আর সেলিম, সাংবাদিক।

জানুয়ারি ০৪.২০২২ at ২০:৩৬:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসআরসে/জআ