ঝালকাঠিতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একের পর এক ভেসে উঠছে মরদেহ। মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালেও এক যুবকের মৃতদেহ ভেসে উঠে সুগন্ধা নদীতে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪২-এ।
এদিকে সোমবার রাতে ঝালকাঠি সদর থানায় স্বজন হারানো পরিবারের পক্ষ থেকে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় লঞ্চ মালিক হাম জালাল শেখসহ ৮ জন নামধারী ও অজ্ঞাত ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার শফিকুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় সুগন্ধা নদীতে ভেসে ওঠে আরও একজনের মরদেহ। স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ডুবুরি দল মরদেহটি উদ্ধার করে। তারা জানায়, উদ্ধারকৃত যুবকের মুখমণ্ডল আগুনে পোড়া। তবে এখনো তার পরিচয় শনাক্ত হয়নি।
ঝালকাঠি সদর থানার ওসি (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম সোহাগ জানান, সোমবার উদ্ধার হওয়া মরদেহটি শনাক্ত করেছেন স্বজনরা। ওই ব্যক্তি অভিযান লঞ্চের ক্যান্টিনের বাবুর্চি ছিলেন। তার নাম শাকিল মোল্লা। তিনি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বাসিন্দা ছিলেন। তার মামা লুৎফর রহমান লাশ শনাক্ত করেন।
এদিকে মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো ঝালকাঠি সিআইডি পুলিশের পক্ষ থেকে শহরের পৌরমিনি পার্ক ডিএনএ টেস্টের জন্য এলাকায় স্বজনদের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। সুগন্ধা পাড়সহ ঝালকাঠিতে অবস্থান নিয়ে নিখোঁজদের স্বজনরা এখন মরদেহ খুঁজে ফিরছেন। প্রাণ বাঁচাতে নদীতে ঝাপ দিয়ে নিখোঁজ হন অনেক যাত্রী।