লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড, পরিদর্শন শেষে যা বললেন সাবেক নৌমন্ত্রী

ইঞ্জিন রুমের ত্রুটি থেকে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে এখনও বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্তে লঞ্চ কর্তৃপক্ষের গাফিলতি প্রমাণ হলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) ঝালকাঠি লঞ্চঘাটে পুড়ে যাওয়া লঞ্চটি পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান একথা বলেন।

এদিকে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ও দুর্ঘটনার ব্যাপারে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কিমিটির আহ্বায়ক তোফায়েল আহমেদও পোড়া লঞ্চটি পরিদর্শনে আসেন। আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে জানালেও তিনি এখন পর্যন্ত দুর্ঘটনার কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ নিয়ে মন্তব্য করেননি। তবে লঞ্চ কর্তৃপক্ষের গাফিলতি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

ইতিমধ্যে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ ‘এমভি অভিযান-১০’ এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২৩টি লাশ ২১টি কবরে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এদের মধ্যে ২টি শিশু থাকায় তাদের মায়ের কবরে দাফন করা হয়েছে। লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

আরো পড়ুন:
লঞ্চের অগ্নিকাণ্ডে ৪১ জনের মৃত্যু: মাসহ একই কবরে ২ শিশু দাফন
লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে অনেকে শরীরে আগুন নিয়েই নদীতে ঝাঁপ দেন

যাত্রীবাহী লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর পোড়া লঞ্চে এখনো নিখোঁজদের স্বজনের আহাজারি। জীবিত নয় মৃত স্বজনের মরদেহ খুঁজতে এসেছেন কেউ কেউ। ঝালকাঠি রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি ৫১ নিখোঁজের তালিকা তৈরি করেছে।

তবে এ ব্যাপারে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী বলেন, এই তালিকাই চূড়ান্ত নয়। বরগুনা জেলা প্রশাসনের পক্ষে থেকে চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।

ল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে যাত্রীবাহী লঞ্চ ‘এমভি অভিযান-১০’ এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। লঞ্চটি রাত ৩টার দিকে ঝালকাঠি টার্মিনালের কাছাকাছি পৌঁছালে ইঞ্জিনরুমে লাগা আগুন মুহূর্তেই পুরো লঞ্চে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঝালকাঠির ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এদিকে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ঝালকাঠি সদর থানায় বাদী হয়ে মামলাটি করেন স্থানীয় গ্রাম পুলিশ জাহাঙ্গীর হোসেন।

ডিসেম্বর ২৫.২০২১ at ১৬:৩৭:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/সনি/জআ