মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে গাইবান্ধায় কমিউনিস্ট পার্টির অনশন

কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য মিহির ঘোষ, কাস্তে প্রতীকের প্রার্থী ছাদেকুল মাস্টারসহ নেতাকর্মী ও নিরীহ মানুষের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে পর্যন্ত অনশন করেছে কমিউনিস্ট পার্টির নেতাকর্মীবৃন্দ।

বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) গাইবান্ধা পৌর শহিদ মিনারে অনশন চলাকালে বক্তব্য রাখেন জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মিথ্যা মামলার আসামী মিহির ঘোষ, জেলা সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সভাপতি ওয়াজিউর রহমান রাফেল, জেলা কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মুরাদ জামান রব্বানী, জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য ও সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি মামলার আসামী ছাদেকুল ইসলাম মাস্টার, জেলা নেতা ময়নুল কবীর মন্ডল, মিতা হাসান, সন্তোষ বর্মণ, জাহাঙ্গীর আলম মাস্টার, যজ্ঞেশ্বর বর্মণ, আসোয়াদ আলী, সুপ্রিয়া দেব, এমদাদুল হক, জাহাঙ্গীর মন্ডল প্রমুখ।

এসময় কর্মসূচির সাথে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় পলিটব্যুরো সদস্য আমিনুল ইসলাম গোলাপ, জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জিয়াউল হক জনি, গণফোরাম জেলা সভাপতি ময়নুল ইসলাম রাজা, কৃষক শ্রমিক জনতালীগের জেলা সভাপতি মোস্তফা মনিরুজ্জামান, ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সভাপতি প্রণব চৌধুরী খোকন, ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদ) জেলা সভাপতি রেবতী বর্মণ, বাসদ জেলা আহবায়ক গোলাম রব্বানী, বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা নেতা কাজী আবু রাহেন শফিউল্লাহ, বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের জেলা সংগঠক সবুজ মিয়া, উদীচী জেলা সংসদের সভাপতি বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ জহুরুল কাইয়ুম, কৃষক সমিতির জেলা সভাপতি সুভাষ শাহ রায়, ক্ষেতমজুর সমিতি’র কেন্দ্রীয় নেতা মশিউর রহমান মইশাল, যুব ইউনিয়ন জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রানু সরকার, ছাত্র ইউনিয়ন জেলা সভাপতি ওয়ারেছ সরকার প্রমূখ। এছাড়া বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক কমরেড শাহ আলমও টেলিফোনে সংহতি জানিয়ে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার দাবি করেন।

আরো পড়ুন :
নিজের মাকে গলাকেটে হত্যা, ছেলে গ্রেফতার
চিতলমারীতে কাশীকৃষ্ণ সেবা সংঘের নতুন মন্দির নির্মান

বক্তারা বলেন, নির্বাচন চলাকালীন গিদারীর ঘটনার সাথে কোন রকম সংশ্লিষ্টতা না থাকার পরও কেন মিহির ঘোষসহ নেতাকর্মীদের নামে রাষ্ট্রদ্রোহ ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা গ্রহণ করা হলো? তারা বলেন সম্পূর্ণ হয়রানি করার উদ্দেশ্যেই এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বক্তারা আরো বলেন, একদিকে মানুষের ভোটাধিকার-গণতন্ত্র হরণ অন্যদিকে মিথ্যা মামলা দিয়ে মানুষকে হয়রানি গাইবান্ধারা জনগণ কোনভাবেই মেনে নেবে না। তারা অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান নইলে হরতালসহ আরও বৃহত্তর কর্মসূচি দেয়া হবে বলে হুসিয়ারি দেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অনশন চলছিল।

ডিসেম্বর ২৩.২০২১ at ১৬:৫৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/সুকুব/রারি