এ বছর গুগলে যেসব খুঁজেছে সবাই

২০২০ সালটা বিশ্ববাসী মহামারি করোনার এক ভয়ংকর সময় পার করছেন। ২০২০ বছরের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রায় সবাই করোনার সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন। সেই তুলনায় বলা যায় বিশ্ববাসী ২০২১ কিছুটা স্বস্তিতেই কাটিয়েছে। তবে মহামারির প্রকোপ ছিলো নিত্যসঙ্গী। ঘরবন্দিও থাকতে হয়েছে বছরের বেশ খানিকটা সময়। এই সময়টাতে সবাই ইন্টারনেটে বুঁদ হয়ে থেকেছেন সারাদিন। অন্যান্য সময়ের তুলনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছিলেন সরব। যা কিছু জানার সব কিছুই খুঁজেছেন ইন্টারনেটে। জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে এক্ষেত্রে সাহায্য করেছে সার্চ ইঞ্জিন গুগল।

এসময় মানুষ সব থেকে বেশি গুগলে খুঁজেছে, বাড়ির কাছাকাছি কোথায় অক্সিজেন সিলিন্ডার পাওয়া যায়। পাশাপাশি সার্চ করেছে, করোনা হাসপাতাল বাড়ির কাছাকাছি কোথায় আছে। এ ছাড়াও খোঁজা হয়েছে কাছাকাছি কোথায় কোথায় সিটি স্ক্যান ও এক্স-রে করা যায়। বাড়ির কাছাকাছি কোথায় আছে রেস্তোরাঁ আছে। চলুন দেখে নেওয়া যাক সেরকম কিছু বিষয়-

করোনা হাসপাতাল
২০২১ সালে ক্রমশই বেড়েছে করোনার উদ্বেগ। দিনে দিনে বেড়েছে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা। তখনই মানুষের দরকার পড়েছে করোনা হাসপাতালের। গুগলে সার্চ করে তখন তারা বাড়ির কাছাকাছি কোথায় কোথায় করোনা হাসপাতাল আছে, তা জানার চেষ্টা করেছে।

আরো পড়ুন:
সীমিত আকারে হবে বড়দিন-থার্টি ফার্স্ট
দেশে ওমিক্রন বাড়ার আশঙ্কা করছে সরকার

অক্সিজেন সিলিন্ডার
অনেক করোনা রোগীকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করা হয়েছে, যার জন্য দরকার হয়েছে অক্সিজেন সিলিন্ডারের।

করোনা পরীক্ষা/সিটি স্ক্যান
দুই বছরের বেশি সময় পেরোলেও কাটেনি এর উদ্বেগ। থেমে থেমে বাড়ছে সংক্রমণ, মৃত্যুও। তার উপর আবহাওয়া পরিবর্তনের সময়টাটে জ্বর, সর্দি-কাশি লেগেই আছে। নতুন করে আবার করোনার নতুন ধরন ওমিক্রণ দেখা দিয়েছে।

তাই তো করোনা পরীক্ষা করানো প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। চিকিৎসকের কাছে গেলে তারা শুরুতেই করোনা পরীক্ষার কথা বলেছেন। এজন্য বাড়ির কাছাকাছি কোথায় কোথায় করোনার পরীক্ষা করা হয়, তা জানার চেষ্টা করেছেন সবাই। এ বছর অনলাইনে এই বিষয়টি সবচেয়ে বেশিবার খোঁজা হয়েছে এটিই।

করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মানুষ বেশ চিন্তিত। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন ছিল সবাই। তা ছাড়া বিজ্ঞানীদের মতে, যাঁরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের সিটি স্ক্যানের দরকার। তাই চলতি বছর ইন্টারনেটে অনেককেই দেখা গিয়েছে সিটি স্ক্যান বাড়ির কাছাকাছি কোথায় আছে, সেটা খুঁজতে।

রেস্তোরাঁ
ঘরবন্দি থেকে বাইরে যাওয়া যখন বারণ। তখন রেস্তোরাঁয় বস খাওয়াও নিষেধ ছিল। জনসমাগম এড়াতে এমনসব বিধি নিষেধ ছিলো পুরোবিশ্বে। সবাই ফুড ডেলিভারি দেয় এমন রেস্তোরাঁর খোঁজ করেছেন অনলাইনে।

ফুড ডেলিভারি
একই পরিবারের সবাই করোনায় আক্রান্ত বা যিনি সংসার সামলান, তিনি হয়তো করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তখন সে সময় পরিবারগুলোর দরকার পড়েছে ফুড ডেলিভারির।

গাড়ির প্রশিক্ষণ স্কুল
করোনার পুরো সময়টাতে সংক্রমণ রোধে নানান পদক্ষেপ নিয়েছিল সরকার। এরমধ্যে অন্যতম একটি ছিল সীমিত পরিসরে গাড়ি চলাচল। সে সময় যারা বাইরে বেড়িয়েছেন তাদের ভোগান্তির কথা নতুন করে বলার কিছু নেই। এজন্যই হয়তো ২০২১ সালে সবাই বাড়ির কাছে গাড়ি প্রশিক্ষণ স্কুল খুঁজেছেন।

ফাসট্যাগ
চলতি বছর মানুষ গুগলে সার্চ করেছে ফাসট্যাগ, যা হলো গাড়ির সামনে লাগানো থাকা একধরনের বারকোড। ওটা গাড়ির মালিকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে লিংক থাকে। কোড স্ক্যান করে টোল প্লাজা থেকে টোল কেটে নেওয়া হয় সরাসরি অ্যাকাউন্ট থেকে। নগদে লেনদেন দরকার হয় না।

ডিসেম্বর ২১.২০২১ at ::০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/ /জআ