ভাল নেই কালাইয়ের আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দারা

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার বিভিন্ন গুচ্ছগ্রামে বসবাস করছেন প্রায় ৭০০ পরিবার। বেহাল ঘরে, কোন রোকমে বসবাস করছেন তারা। তাদের দাবি, সরকার যদি তাদের ঘরগুলো পাকা কিংবা মেরামত করে দিতেন, তাহলে স্ত্রী-সন্তান, বাবা মাসহ সপরিবারে তারা নিরাপদে বসবাস করতে পারতেন।

সরেজমিনে কালাই পৌরসভার সীতাহার গুচ্ছগ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, এ গুচ্ছগ্রামের কোন পরিবারই এখন ভাল নেই। ১৫ বছর আগেই টিনের তৈরী ঘরগুলো ভেঙে গিয়ে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পরে। উপায়ন্ত না দেখে ইতোমধ্যে অনেকেই টিনের ঘরগুলো ভেঙ্গে সেখানে কেউ মাটি দিয়ে, কেউবা তৈরী করেছেন আছড়া ঘর (বাঁশ-কঞ্চি দিয়ে বেড়া বানিয়ে তার উপরে মাটির প্রলেপ দিয়ে তৈরী ঘর) নতুন ভাবে তৈরী করেছেন।

তারপর কেউ খড় দিয়ে ছাউনি দিয়েছেন। কেউ কেউ ছাউনি দিয়েছেন ঢেউদিন দিয়ে। অনেকের খড়ের চালা রোদ-বৃষ্টিতে ঝরঝরে হয়েছে। আর ঢেউটিন হয়েছে ফুটা। বর্ষাকালে এসব ঘরে বৃষ্টির পানি প্রবেশ করে। শীতকালে শিশির পাত হয়। হিমেল বাতাস প্রবেশ করে। ফলে বর্ষা ও শীতকালে এ গুচ্ছগ্রামবাসীদের দিনের শেষে রাতেও ভালো ঘুম হয়না তাদের।

একই চিত্র দেখা গেছে, উপজেলার দেওগ্রামের শাহিন পুকুর আবাসন প্রকল্পের । ২০০৫ সালে এ প্রকল্পটি উদ্ভোধন করা হলেও র্দীঘ ১৬ বছরেও নতুন করে মেরামত না করায় ৪০টি পরিবার এসব ঘরে টিনের চাল দিয়ে পানি পড়ে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। এছারাও সবগুলো টিউবওয়েল অনেক দিন আগেই নষ্ট হয়ে গেছে।

আরো পড়ুন :
মাদারীপুরে বাস-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ১
তুরস্কের আঙ্কারায় বঙ্গবন্ধুর সর্ববৃহৎ মেমোরিয়াল পার্ক ও আবক্ষ ভাস্কর্য উদ্বোধন

স্বাস্থ্যস¤ত পয়োনিস্কাশ তো দুরের কথা, কোন কোন স্থানে টিনের বেড়া পড়ে আছে, যা কোন আঙ্গিকেই টয়লেটের জায়গা হিসেবে চেনার উপায় নেই। প্রতিটি পরিবার টয়লেট ও খাবার পানির জন্য রীতিমতো যুদ্ধ করতে হচ্ছে। অতি বৃষ্টি এবং বর্ষার সময় অনেক আশ্রয়নকেন্দ্রে পানি প্রবেশ করার কারণে পরিবারের সদস্যদেরকে নিয়ে বিপাকে পড়তে হয় তাদের মাত্রাই বড় পুকিরিয়া আশ্রয়ন প্রকল্পের একই অবস্থা দেখা গেছে, ৪০টি পরিবারের মধ্যে একটি পরিবারের মধ্যে নেই টিউবওয়েল এর ব্যবস্থা। নেই স্বাস্থ্যস¤ত পয়োনিস্কাশ ব্যবস্থা । পুকুরের মধ্যে বিলীন হতে চলছে তাদের বসতভিটা।

ভুক্তভোগী বিভিন্ন আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দারা আবু হোসেন,আব্দুল লতিফ, মাসুদ হোসেন, সাজু মিয়া, আখতার আলী, শহিদুল ইসলাম , দুদু মিয়া জামাল ফকির, আজাহার, রেহেনা আক্তার, আমেনাসহ অনেকে জানান, আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর বরাদ্ধ দেয়ার পর সরকারী ভাবে লোকজন এসে দেখে গেলেও কেউ কোন দিন খোঁজ খবর রাখে নাই।

কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টুকটুক তালুকদার জানান, আগের আশ্রয়ণ প্রকল্পগুলোর জন্য সংশ্লিষ্ট কৃতপক্ষের বরাবরে কাছে অনুদান চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। বরাদ্ধ পেলে দ্রত তাদের আশ্রয়ণ প্রকল্পের জন্য কাজ করা হবে।

ডিসেম্বর ১৪.২০২১ at ১৫:১৮:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/আকা/রারি