বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যা ঘটনায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবনের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে আসামিদের আদালতে আনা হয়। এরপর বেলা পৌনে ১২টায় তাদের এজলাসে তোলা হয়।

এর আগে গত ১৪ নভেম্বর মামলাটির রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের সকল যুক্তি উপস্থাপন শেষ হলে রায় ঘোষণার জন্য ২৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেন বিচারক। কিন্তু রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ২৮ নভেম্বর বিচারক বলেন, রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা যে যুক্তি উপস্থাপন করেছেন তা বিশ্লেষণ করে রায় প্রস্তুত করা সম্ভব হয়নি। রায় প্রস্তুত করতে আরও সময় লাগবে। তাই এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য ৮ ডিসেম্বর নতুন দিন ধার্য করেন বিচারক।

আবরার হত্যা মামলার ২৩ নং আসামির ভাই বলেন, আদালতে যদি প্রমাণ হয় আমার ভাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত তাহলে তার সাজা হোক আমরাও চাই। তবে সে জড়িত নয় কিন্তু আলোচিত মামলা বলে সাজা দেয়া হলে সেটা কাম্য নয়। যার সন্তান বা ভাই চলে যায় সেই জানে দুঃখটা কেমন। আমরা চাই সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমে সারাদেশে যারা হত্যায় জড়িত তাদের বিচার হোক।

২০ মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন – মেহেদী হাসান রাসেল, মুহতাসিম ফুয়াদ, অনিক সরকার, মেহেদী হাসান রবিন, ইফতি মোশাররফ সকাল, মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মুজাহিদুর রহমান, মনিরুজ্জামান মনির, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাহ, নাজমুস সাদাত, অমিত সাহা, মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম ও এস এম মাহমুদ সেতু। পলাতক তিন আসামি হলেন- মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ।

আরো পড়ুন:
দেরি করে ঘুম থেকে উঠলে হতে পারে মারাত্মক ক্ষতি
সরকারি অফিসে ‘আগ্নেয়াস্ত্র’ সেলফিতে তৃণমূল সভানেত্রী

পাঁচজন যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত আসামিরা হলেন, পেলেন- ফুয়াদ, মোয়াজ, আবু হোরাইরা, আকাশ ও মুন্না।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে আবরারকে তার কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে যান বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। তারা ২০১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেন। রাত ৩টার দিকে শেরে বাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় ওই বছরের ৭ অক্টোবর রাজধানীর চকবাজার থানায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পুলিশ পরে ২২ জনকে গ্রেপ্তার করে। এর মধ্যে আটজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এদের সবাই বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।

আবরার ফাহাদ বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।

ডিসেম্বর ০৮.২০২১ at ১২:৩৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/ভক/জআ