ইউপি নির্বাচনে সহিংসতা ঠেকাতে প্রয়োজনে গুলি

পরপর তিনটি ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শেষ হয়েছে। এ তিন ধাপে শতাধিক সহিংসতায় প্রায় ৪০ জন মারা গেছেন। প্রতিটি ধাপে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে ইসি আরও কঠোর ভাবে নির্বাচনে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের নির্দেশনা দেয়। কিন্তু নির্বাচন পূর্ব ও পরবর্তিতেও সহিংসতা ঘটছে। আর এসব সহিংসতা ঠেকাতে ব্যর্থ হচ্ছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। সেকারণে আগামী ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত চতুর্থ ধাপের ও ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপের নির্বাচনে সহিংসতা ঠেকাতে প্রয়োজনে গুলি করার নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।

এ বিষয়ে ইসির যুগ্ম সচিব অশোক কুমার দেবনাথ রবিবার (৫ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে বলেছেন, এটা তো স্বাভাবিক বিষয়, যদি নির্বাচন ব্যাহত করতে কেউ সহিংসতা সৃষ্টি করে বা ব্যালট পেপার, ব্যালট বাক্স ছিনতাই করার চেষ্টা করে, ভোটারদের ভোট দানে বাঁধা দেয় বা অস্ত্রস্বস্ত্র নিয়ে হামলা করে তবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তো বসে থাকতে পারে না। তারা গুলি করতে বাধ্য হবেন।

প্রথম ধাপে চট্টগ্রামে এ ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তা থামাতে গুলিও করে ভোটের দায়িত্ব থাকা আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। নির্বাচনের সময় এ নির্দেশ রিটার্নিং কর্মকর্তাকে দেয়া আছে। তিনি প্রয়োজনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সহিংসতা ঠেকাতে এ ধরনের কঠোর অবস্থানে যেতে নির্দেশ দিতে পারবেন।

এ বিষয়ে সিনিয়র নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম তৃতীয় ধাপের ভোটের আগে রাজশাহীতে এক আইন- শৃঙ্খলা বিষয়ক বৈঠকে বলেছেন, সহিংতা যদি এমন পর্যায়ে চলে যায়, যাতে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন ব্যাহত হয়, ব্যালট পেপার, ব্যালট বাক্স ছিনতাই, রাষ্ট্রিয় সম্পত্তির ক্ষতি-এ ধরনের ঘটনা ঘটলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে তা ট্যাকল দিতে প্রয়োজনে গুলি করবে। তারা এসমতাবস্থায় তো বসে থাকতে পারবে না। আমরা সহিংসতা মুক্ত ফেয়ার ইলেকশন চাই। রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রয়োজন বুঝলে চরম অবস্থানে যেতে নির্দেশ দিতে পারেন, প্রয়োজনে গুলির নির্দেশনা দেবেন তিনি। এটি পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে তিনি কাজ করবেন। শেষ ধাপের ইউপি তফসিল আগামী সপ্তাহে- ভোট জানুয়ারির শেষে

আরো পড়ুন:
আধিপত্য বিস্তার, তৃতীয় লিঙ্গের দু’পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহত-১২  
তরুণ প্রজন্মকে উদ্যোক্তা হওয়ার পরামর্শ: প্রধানমন্ত্রী

অশোক কুমার দেবনাথ জানান, আমাদের মোট ইউপির সংখ্যা ৪ হাজার ৫৭১টি। তার মধ্যে কিছু মামলাসহ নানা জটিলতায় রয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা পাঁচটি ধাপে প্রায় ৩ হাজার ৯২৯ ইউনিয়ন পরিষদের তফসিল দিয়েছি। যার মধ্যে ২ হাজার ৩৪১ টি ইউপির নির্বাচন শেষ হয়েছে। চতুর্থ ধাপে আগামী ২৬ ডিসেম্বর ৮৪০ টি ইউপিতে এবং পঞ্চম ধাপে ৫ জানুয়ারি ৭০৭ টি ইউপিতে ভোট নেয়া হবে। এর পরেও আরো প্রায় সাড়ে তিনশ/ চার’শ ইউপি বাকি থাকবে, এটি শেষ ধাপে ভোট নেয়া হবে।

এ জন্য আগামীতে ইসির ৯২ তম সভা বা ৯৩ তম সভায় আলোচনা হবে, যার তফসিল ডিসেম্বরের মধ্যে দিয়ে জানুয়ারির শেষ দিকে ভোট গ্রহণ করা হবে বলে জানান অশোক কুমার দেবনাথ।

ডিসেম্বর ০৫.২০২১ at ২০:০৮:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/ভক/জআ