নওগাঁয় হ্যান্ডকাপসহ মাদক ব্যবসায়ী পলায়ন সহযোগীতায় আটক ৩

নওগাঁয় মাদক ব্যবসায়ীকে ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যেতে সহযোগীতা করায় ভীমপুর বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউল হক (৪৫)সহ তিনজনকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাঁসাইগাড়ী ইউনিয়নের ওই বিদ্যালয় থেকে তাদের আটক করা হয়। আটকরা হলেন- একই বিদ্যালয়ের অফিস সহকারি কালাম হোসেন ও নৈশ প্রহরী জাহাঙ্গীর আলী। তাদের বাবার নাম কাজেম সরদার। ঘটনায় রাতেই মামলা হয়েছে।

স্থানীয় ও ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভীমপুর বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে একটি পরিত্যক্ত ভবনের কক্ষে কায়েম উদ্দিনের ছেলে মাদক ব্যবসায়ী আলম হোসেন(৩০) মাদক বিক্রি করছিল। এসময় ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মহসিন রেজা গোপন সংবাদে সেখানে গিয়ে আলম হোসেনকে আটক করে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে সেখানে জব্দ তালিকা প্রস্তুত করছিল। বিষয়টি জানার আলমের চাচাতো ভাই জাহাঙ্গীর, কালাম হোসেন ও প্রধান শিক্ষক আতোয়ার হোসেনসহ কয়েকজন সেখানে গিয়ে তাকে কৌশলে ছিনিয়ে নিয়ে ইউসুফ নামে একজনের মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে দেয়। পরে পুলিশ তাদের তিনজনকে আটকসহ ১০ গ্রাম হিরোইন উদ্ধার করে নিয়ে আসে। ঘটনার পর বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে শত শত এলাকাবাসী ভীড় করে।

আরো পড়ুন:
বর্তমান চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আলাউদ্দীন আল মামুনের উপর হামলার চেষ্টা
জাবিতে প্রথমবারে মতো ইন্ট্রা-হল দাবা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

ঘটনায় নওগাঁ সদর থানায় প্রধান শিক্ষক আতাউল হক, কালাম হোসেন(২৬), জাহাঙ্গীর আলী (২৯), ইউসুফ (২২)সহ পাঁচজনের নামে পৃথক দুইটি মামলা হয়েছে। একই ঘটনায় অজ্ঞাতা আরো ৫-৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। স্থানীয় নয়ন মন্ডল বলেন, ওই সময় বিদ্যালয়টি চালু থাকলেও শিক্ষার্থীরা ছিলনা। শুধুমাত্র শিক্ষক ছিল। পাশেই বিদ্যালয়ের আরেকটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে মাদকসহ আলমকে ডিবি পুলিশ আটক করে। পরে কয়েকজন শিক্ষক মিলে ডিবি পুলিশের কাছ থেকে আলমকে হ্যান্ডকাপসহ কৌশলে পালিয়ে যেতে সহযোগীতরা করে।

ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মহসিন রেজা বলেন, মাদক ব্যবসায়ী আলম হোসেনকে আটক করে জব্দ তালিকা প্রস্তুতের সময় প্রধান শিক্ষক আতাউল হক, কালাম হোসেন, জাহাঙ্গীর আলীসহ ৫-৭জন এসে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে ইউসুফ এর মোটরসাইকেলে করে হ্যান্ডকাপসহ পালিয়ে দেয়। ঘটনার পর তাদের তিনজনকে আটক করা হলে বাঁকীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আসামী ছিনতাই ও সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ায় পৃথক দুইটি মামলা হয়েছে। পলাতক আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহৃত আছে। নওগাঁ গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কেএম শামসুদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মাদক ব্যবসায়ীকে পালিয়ে যেতে সহযোগীতা করা এবং সরকারি কাজে বাঁধা প্রদান করায় পৃথক দুইটি মামলা হয়েছে।

ডিসেম্বর ০২.২০২১ at ১২:৩২:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/সর/এমএইচ