ভুয়া সনদ দিয়ে চাকরি নেয়ার অভিযোগ

যশোর জেলা

যশোরের ঝিকরগাছা ইউনিয়ন পরিষদে ভুয়া সনদ ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে চৌকিদারের চাকরি হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এভাবেই দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে সে চাকরি করছে। অভিযুক্ত ওই চৌকিদারের নাম আজাদ হোসেন। সে উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীন এর ছেলে। তার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়, আজাদ লাউজানি হাইস্কুল থেকে অষ্টম শ্রেণি পাশের ভুয়া সনদ ও প্রত্যয়নপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে ঝিকরগাছা ইউনিয়ন পরিষদে ৭/৮ বছর ধরে চৌকিদার পদে চাকরি করছে। অভিযোগে আরো বলা হয় সে বিভিন্ন সময়ে নাগরিক সনদ, জন্ম নিবন্ধন দেয়ার কথা বলে মানুষের কাছ থেকে অর্থ আদায় করে।

এছাড়া পরিষদের খাজনা আদায়ের নামেও ব্যাপক দূর্নীতি করেছে। এই খাজনা আদায়ের অর্থের গড়মিলের কারণে মল্লিকপুর গ্রামের বিপ্লব হোসেনের সাথে মারামারির ঘটনা ঘটেছিল।

আরো পড়ুন:
অভয়নগরকে আলোকিত করে রেখেছে এগারো শিব মন্দির
স্বামী-স্ত্রী দেবরের ভোট যুদ্ধ এখন ‘টক অব দ্য রাঙ্গুনিয়া’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আজাদ গাজীর দরগাহ কুয়েত ইসলামিক ইয়াতিম কমপ্লেক্সের ছাত্র ছিল। সেখানকার তৎকালীন প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুস জানান, আজাদ সেখানে হেফজ বিভাগে পড়াশোনা করতো। হেফজ পাশ না করেই সে পড়াশোনা ছেড়ে দেয়। লাউজানি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেলিম রেজা অভিযুক্ত আজাদকে ঠিকমত না চিনতে পারলেও অষ্টম শ্রেণি পাশের সার্টিফিকেট দিয়েছেন।

এবিষয়ে মুঠোফোনে তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় বাইরে থেকে ভুয়া সার্টিফিকেট বানিয়ে নেয় অনেকে। তবে সার্টিফিকেটের আসল কপি দেখলে বিষয়টা নিয়ে বলতে পারবো। এবিষয়ে অভিযুক্ত আজাদের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জাল সার্টিফিকেটের বিষয়টি অস্বীকার করেন।

তিনি বলেন, জাল সার্টিফিকেট দিয়ে কি চাকরী হয়? আপনি বোঝেন না? টি.ও.নো সাহেব কি ভাত খায়না যে জাল সার্টিফিকেটে চাকরী দেবে? তার বিরুদ্ধে কে অভিযোগ করেছে এটা জানতে চেয়ে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, আপনি যেই জমিদার হোন না কেন আপনাকে কৈফিয়ত দিতে হবে। উল্লেখ্য অভিযুক্ত আজাদ ইউনিয়ন পরিষদের সামনে একটি চায়ের দোকান চালান।

নভেম্বর ২৪.২০২১ at ১৯:৩০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/আক/জআ