গাইবান্ধায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ইউপি নির্বাচনে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ

ইউনিয়ন নির্বাচন
ছবি: প্রতীকী
গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুন-অর রশিদের বিরুদ্ধে ইউপি নির্বাচনে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে। এব্যাপারে তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সচিবের বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে সদস্য পদে অংশ নেয়া রবিউল আলম।

অভিযোগে জানা গেছে, ১১ নভেম্বর গাইবান্ধা সদর উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে একই উপজেলার কুপতলা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের চাপাদহ ১নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পান লক্ষ্মীপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুন-অর রশিদ।

ওই ভোট কেন্দ্রে কারচুপি, অনিয়ম ও নকল ভোট প্রদানের ঘটনা ঘটে। ভোট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার হারুন-অর রশিদ অনৈতিক প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে বর্তমান ইউপি সদস্য কামরুল হাসানের সাথে যোগসাজস করে অবৈধ পন্থায় তাকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

আরো পড়ুন :
পেকুয়ার আলোচিত টাইগার বাহিনীর প্রধান আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটক
১৬ হাজার মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেন জান্নাতুল ফেরদৌস!

এব্যাপারে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রবিউল আলম অভিযোগে জানান, প্রিসাইডিং অফিসার পূর্বেই কৌশলে এজেন্টদের স্বাক্ষর নিয়ে যোগসাজসে ফলাফল সিট দিয়ে কামরুল হাসান এর বৈদ্যুতিক পাখা মার্কাকে বিজয়ী দেখিয়ে কেন্দ্র থেকে দ্রুত সটকে পড়তে চাইলে জনগণ বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু প্রিসাইডিং অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবিকে ডেকে জনগণকে নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে দ্রুত ভোট কেন্দ্র ত্যাগ করেন। প্রিসাইডিং অফিসারের ঘোষিত ফলাফলের সাথে ব্যালটের মুরি বইয়ের কোন মিল নেই। ফলে মুরি বইয়ের হিসেবের চেয়ে ভোট বেশি কাস্ট হয়। কারণ বিজয়ী প্রার্থী প্রিসাইডিং অফিসারের সাথে যোগসাজসে বাইরে থেকে কতিপয় ভোটারের মাধ্যমে নকল ব্যালট বাক্সে ঢোকানো হয়। ওইসকল ভোট কথিত বিজয়ী প্রার্থীর পক্ষে দেয়া হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রিসাইডিং অফিসার হারুন-অর রশিদ বলেন, তিনি কোনো অনিয়ম করেননি। পরাজিত প্রার্থী যে অভিযোগ করেছেন, সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবেন।

নভেম্বর ২৩.২০২১ at ১৬:৪০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/সুকুব/রারি