প্রাথমিকের চাকরিতে ৬০ শতাংশ নারী নেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে : পরিকল্পনা মন্ত্রী

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরির ৬০ শতাংশ নারীদের জন্য সংরক্ষিত, উপজেলা পর্যায়ে একজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বা ইউনিয়ন পর্যায়ে বাধ্যতামূলক ৩ জন নারী সদস্য ইত্যাদি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।

‘নীতিনির্ধারণে কেয়ার ইকোনমির অর্ন্তভুক্তি’ শিরোনামে একটি ওয়েবিনারে শনিবার (২০ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এ কথা বলেছেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা মন্ত্রী জানিয়েছেন, জনসংখ্যার একটি বড় অংশ অবৈতনিক পরিচর্যা কাজের স্বীকৃতি সম্পর্কে অবগত নয়। প্রধানমন্ত্রী ও সরকার সমস্যা সমাধানে কৌশলগতভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করছে। আইন ও বিধিবিধানের মাধ্যমে পরিচর্যা খাতের স্বীকৃতি ও নারীদের মূলধারার শ্রমবাজারে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

ওয়েবিনারে গবেষণা মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এবং সানেমের গবেষণা পরিচালক ড. সায়মা হক বিদিশা বলেছেন, সন্তানদের বা বয়স্কদের দেখাশুনার অবৈতনিক কাজে ৮১ দশমিক ৪ শতাংশ ক্ষেত্রে বাড়ির নারীরাই যুক্ত থাকেন। দেশের ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী নারীরা গড়ে দৈনিক ৬ ঘন্টার এই অবৈতনিক পরিচর্যায় নিয়োজিত থাকেন। প্রতি ঘন্টা অবৈতনিক পরিচর্যায় সময় দেওয়া তার শ্রমবাজারে অংশগ্রহণের হারকে ১ দশমিক ৮ শতাংশ কমিয়ে দেয়। এ দিকে ৫ বছরের কম সন্তান থাকা নারীদের ক্ষেত্রে যা ২ দশমিক ৪ শতাংশ।

এছাড়াও সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হানের সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম শুভেচ্ছা বক্তব্য দিয়েছেন। এ অনুুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এর নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. সাইফুল ইসলাম, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের যুগ্ম সচিব বেবী রানী কর্মকার, মহিলা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক শেখ মুসলিমা মুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নভেম্বর ২০.২০২১ at ::০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/ /জআ