মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে ঝিনাইদহে সাংবাদিকদের মানববন্ধন

ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের প্রচার সম্পাদক শামিমুল ইসলাম শামিম, জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ৭১ বাংলা টেলিভিশন ও দৈনিক চিত্র পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মনিরুজ্জামান সুমন এবং শৈলকুপা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম ইমরানসহ ৩ সাংবাদিকের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শনিবার সকালে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব চত্বরে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। মনববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শৈলকুপা উপজেলার কুখ্যাত রাজাকার মৃত গোলাম মজনুর ছেলে এবং মাগুরা (সওজ) এর উপ-সহকারি প্রকৌশলী আহসানুল কবির টিটুর বিরুদ্ধে তার স্ত্রী শাহানাজ খাতুন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। এদিকে স্ত্রী শাহানাজের ভাই মনিরুলের স্ত্রীর সাথে পরকিয়া প্রেম করে অনৈতিক সম্পর্ক তৈরী করে তা ভিডিও করে ব্লাক মেইল করে আসছিলো টিটু। এ ঘটনায় প্রবাসী মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে টিটুর নামে পর্নোগ্রাফি আইনে আরো একটি মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রচার হয়। সংবাদ প্রকাশের জেরে শাহানাজের ভাই মনিরুল ও তিন সাংবাদিককে ফাঁসাতে তাদের নামে পরকিয়া প্রেমিকা শেফালীকে দিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মিথ্যা মামলা দায়ের করিয়েছে সওজ এর উপ-সহকারি প্রকৌশলী আহসানুল কবির টিটু। যা সম্পূর্ন মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।

ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি এম রায়হান, সাধারন সম্পাদক মাহমুদুল হাসান টিপু, সহ-সম্পাদক কে এম সালেহ, প্রেসক্লাবের সিনিয়র সাংবাদিক সাইফুল মাবুদ, দেলোয়ার কবির, ঝিনাইদহ জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারন সম্পাদক সাহিদুল এনাম পল্লবসহ অনেকেই মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন।

আরো পড়ুন:
নওগাঁ সদর উপজেলা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের প্রধান কার্যালয়ের উদ্বোধন
পাবনা জেলা আ.লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি এম রায়হান বলেন, মাগুরা সওজের সহকারী প্রকৌশলী টিটু এক নারীর সাথে পরকীয়া করে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও তৈরি করে বিভিন্ন জনের নিকট সরবরাহ করেছে। সেই সংবাদ সাংবাদিকগন প্রচার করেছে । যার কারনে ঐ কর্মকর্তা তার অপকর্ম আড়াল করার জন্য সাংবাদিকদের নামে মিথ্যা ও হয়রানী মূলক মামলা দায়ের করিয়েছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায়। সেই সাথে তিনি ঝিনাইদহের সুযোগ্য জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলে, এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে সাংবাদিকদের হয়রানী মূলক মিথ্যা মামলা থেকে অব্যহতি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তা যদি না হয় তাহলে ঝিনাইদহের সাংবাদিকেরা প্রয়োজনে অবস্থান ধর্মঘট, বিক্ষোভ সমাবেশ ও স্মারক লিপি প্রদান সহ দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে। সেই সাথে সাংবাদিক নির্যাতনকারী ডিজিটাল নিরাপত্তা কাল আইন বাতিলের জোর দাবী জানায়।

নভেম্বর ২০.২০২১ at ১৫:০৬:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/কল/জআ