যেসব খাবার কাঁচা কখনো খাবেন না

দৈনন্দিন জীবনে এমন অনেক খাবার আছে যেগুলি কাঁচা অবস্থায় খাওয়া যায় তবে কিছু খাবার আছে যেগুলি কাঁচা  মোটেও ঠিক নয়। রান্না করে খেলে যেগুলো অধিক পুষ্টিকর। যে সবজিগুলো কাঁচা খাওয়া যায় না বা ঠিক নয়।

দুধ: শিশু থেকে বয়স্ক-সবার জন্য দুধ প্রয়োজনীয় ও পুষ্টিকর একটি খাবার। এতে থাকা অ্যামিনো অ্যসিড, এনজাইম শরীরের জন্য উপকারী। তবে, কাঁচা দুধ পান করাটা খুবই বিপজ্জনক। এতে ব্যাকটেরিয়া থাকে। এরজন্য দুধ ভালোভাবে ফুটিয়ে পান করা উচিত।

তিতা কাঠবাদাম: সাধারণত যেসব কাঠবাদাম খাওয়া হয় তা মিষ্টি ধরনের। কিন্তু তেতো স্বাদের কাঠবাদামও পাওয়া যায়, যা কাঁচা খাওয়া মোটেও ঠিক নয়। কারণ এতে বিষাক্ত হাইড্রোসায়ানিক এসিড থাকে। তবে রান্না করলে এগুলো আর বিষাক্ত থাকে না।

ময়দা: গম থেকে ময়দা হয়ে তা বাজার পর্যন্ত আসতে আসতে অনেকভাবেই এতে জীবাণুর সংক্রমণ ঘটতে পারে। শুধুমাত্র রান্নার মাধ্যমেই এই জীবাণু ধ্বংস হতে পারে। এ কারণে কাঁচা খামির, কুকি ডো খাওয়া উচিত নয়।

সসেজ: চিকেন সসেজ শিশুদের কাছে জনপ্রিয় একটি খাবার। এটি ভেজে খাওয়া যায়। আবার সসেজ দিয়ে তৈরি করা যায় সুস্বাদু হটডগও । অনেকেরই ধারণা, সসেজ যেহেতু প্রক্রিয়াজাত করা একটি খাবার, তাই এটা প্যাকেট থেকে বের করে সরাসরি খাওয়া যাবে। কিন্তু এ ধারণাটি ভুল! সসেজে থাকা লিস্টেরিয়া নামের ব্যাকটেরিয়া শরীর অসুস্থ করে ফেলতে পারে। তাই এটি ভালোভাবে রান্না না করে খাওয়া উচিত নয়।

বেগুন: বেগুন অনেকেরই প্রিয় একটি সবজি। এটি ভর্তা, ভাজি ও রান্না করে খাওয়া যায়। বেগুনের মধ্যে সোলানিন উপাদান থাকায় এটি কাঁচা খেলে শরীরের নানা সমস্যা হতে পারে। অন্যদিকে, কাঁচা বেগুনে অনেকের প্রবল অ্যালার্জি থাকে। এজন্য এটি রান্না করে খাওয়াই ভালো।

ফলের বীজ: আপেল, আম, পীচ, নাশপাতি বা অ্যাপ্রিকটের বীজ কাঁচা খাওয়া উচিত নয়। এগুলোতে এমন একটি রাসায়নিক থাকে যা সায়ানাইডে রূপান্তরিত হয়ে বিষক্রিয়া করতে পারে।

আলু: আলু সবারই পছন্দের একটা সবজি। বিভিন্নভাবে এটা রান্না করা যায়। কিন্তু এ খাবারটি মোটেও কাঁচা খাওয়া ঠিক নয়। কাঁচা আলু খেলে পেট ফাঁপা এমনকি পেট খারাপ হতে পারে। কারণ এতে এমন কিছু স্টার্চ থাকে যা হজম হয় না। আবার আলু বেশি সময় ভেজা বা গরম জায়গায় রাখলে এর ভেতরে কিছু অংশ সবুজ হয়ে যেতে পারে। ওই জায়গায় সোলানিন নামের একটি টক্সিন থাকে যা ফুড পয়জনিং তৈরি করে। আলুতে এমন সবুজ অংশ থাকলে সে আলুটা না খাওয়াই নিরাপদ। আলুর মতো সবজি রান্না করে খেলে বিটা ক্যারোটিনের উপাদান বেড়ে যায়। কারণ কাঁচা আলুতে ক্ষতিকর বিষাক্ত কিছু উপাদান থাকে, যা হজম প্রক্রিয়ায় মারাত্বক সমস্যা সৃষ্টি করে।

মাশরুম: গরম স্যুপ অথবা সালাদের সঙ্গে মাশরুম খেতে অনেকে পছন্দ করেন। খেতে সুস্বাদু মাশরুম শরীরের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। এতে নানা ধরনের পুষ্টি উপাদান থাকে। নিয়মিত মাশরুম খেলে রক্তশূন্যতা, ডায়াবেটিক ও উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগ দূরে থাকে। কাঁচা মাশরুমে ক্ষতিকর কিছু উপাদান থাকে। এ অবস্থায় এটি হজম করাও কঠিন। এ কারণে মাশরুম রান্না করেই খাওয়া উচিত।