মদনে পরকীয়া প্রেমের জেড়ে যুববকে কুপিয়ে আহত; ১২ দিন পর মৃত্যু

ফাইল ছবি : নিহত আসাদুল

পরকীয়া প্রেমের জেড়ে নেত্রকোনার মদনে আসাদুল নামের এক যুবক মারা গেছে। কুপিয়ে আহত করার ১২ দিন পর বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) রাতে ঢাকার একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। গত রবিবার (৭ নভেম্বর) রাতে উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের বড় খাগুড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আশাদুল ওই গ্রামের আলতু মিয়ার ছেলে।

এদিকে ঘটনার পরদিনেই নিহতের বাবা মদন থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা করেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে একই গ্রামের আপোষ মিয়ার ছেলে জুয়েলকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে বুধবার (১০ নভেম্বর) জেল হাজতে পাঠায় মদন থানার পুলিশ।

মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম মৃত্যুর সংবাদটি নিশ্চিত করে বলেন, গভীর রাতে রক্তাক্ত অবস্থায় আসাদুলকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। এ ব্যাপারে আসাদুলের বাবা অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় মামলা করলে ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে জুয়েল নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

তিনি আরো বলেন, পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্ত করছেন। পূর্বের দায়েরকৃত মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে। তদন্ত সাপেক্ষে মূল ঘটনা উদঘাটন করে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন সূতে জানা গেছে, খাগুরিয়া গ্রামের আপেষ মিয়ার ছেলে রংমিস্ত্রী সাইফুল ইসলাম দ্বিতীয় বিয়ে করে চট্টগ্রামে বসবাস শুরু করেন। এদিকে তার প্রথম স্ত্রী রুনা আক্তার বাড়িতে থাকায় আসাদুলের সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। গত রবিবার (৭ নভেম্বর) গভীর রাতে আসাদুল সাইফুলের স্ত্রী রুনার সাথে দেখা করতে যায়। বিষয়টি টের পেয়ে সাইফুলের ছোট ভাই আলামিন ও জুয়েলসহ কয়েকজন আসাদুলকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে ফেলে রাখে। পরে প্রতিবেশী ও আসাদুলের পরিবারে লোকজন তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে একটি বেসরকারী হাসপাতালের আইসিইউতে বৃহস্পতিবার রাতে মারা যায় সে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খাগুড়িয়া গ্রামের একাধিক লোকজন ও আসাদুলের মামী দিলোয়ার আক্তার বলেন, দীর্ঘদিন আগে রংমিস্ত্রী সাইফুলের প্রথম স্ত্রী রুনা আক্তারের সাথে আসাদুলের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গভীর রাতে আসাদুল তাদের বাড়িতে দেখা করতে গেলে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে সাইফুলের বাড়ির লোকজন। ১২ দিন চিকিৎসা দেওয়ার পর বৃহস্পতিবার সে মারা গেছে। আমরা তাদের শাস্তির দাবি করছি।

অভিযুক্তদের বাড়িতে লোকজন না থাকায় ও তাদের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়ায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।