গাজীপুরের টঙ্গীতে চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রবেশের একমাত্র রাস্তা কবরস্থান

দেশের সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার বেশ কিছু যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহন করেছে। দেশের নগরাঞ্চলে বসবাসকারী অপেক্ষাকৃত দরিদ্র জনগোষ্টি ও জীবিকার অন্বেষণে আসা মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম সম্প্রসারণ ও মান উন্নয়ের লক্ষ্যে ‘আরবান প্রাইমারী হেলথ-কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারী প্রকল্প’ নামে একটি প্রকল্প সরকার বাস্তবায়ন করেছে। এই প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে শহরের দরিদ্র জনগন বিশেষ করে নারী ও শিশুদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা। এরই ধারাবাহিকতায় টঙ্গীর অসহায় দরিদ্র জনগনের চিকিৎসা সেবার মান উন্নয়ন ও স্থানীয়দের সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ৪৭ নং ওয়ার্ডে নির্মিত হয়েছে নগর মাতৃসদন।

মাতৃসদন নির্মিত হওয়ায় অত্র এলাকা ও আশপাশের লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ এখানে সেবা নিতে আসছে। তবে পরিকল্পিত সড়ক ব্যাবস্থা না থাকায় রোগীদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে গর্ভবতী নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের বিড়ম্বনার যেন শেষ নেই। দীর্ঘদিনে বাস্তবায়ন হয়নি মাতৃসদনের সড়কের কাজ। কোন প্রকার উপায় না থাকায় প্রায় বাধ্য হয়ে চিকিৎসক ও রোগীদের প্রবেশ করতে হয় মরকুন কবরস্থানের মাঝখান দিয়েই। কবরস্থান পবিত্র স্থান হলেও চারপাশ শান্ত, নিরিবিলি ও থমথমে হওয়ায় রোগীরা প্রচন্ড ভয় পায়, মাতৃসদনে আসা রোগীদের মাঝে সবসময় ভয় ভীতি বিরাজ করে। মাতৃসদন পরিচালনা করছে ইউনিটি থ্রু পপুলেশন সার্ভিস ( UTPS)।

চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা জানায়, টঙ্গীতে নগর মাতৃসদন হওয়ায় আমরা সহজেই চিকিৎসা সেবা নিতে পারি আর এখানকার চিকিৎসা সেবাও খুব ভালো। তবে আসা যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রচন্ড বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। মরকুনের মুল সড়ক থেকে প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা ও ড্রেনের কাজ ঢিলেঢালা ভাবে চলছে যার কারণে কাটা আর ভাঙ্গা রাস্তায় গাড়ী চলাচল সম্ভব হয় না। গর্ভবতী মায়েদের খুব কষ্ট হয়। রাস্তায় প্রসব হওয়ার ঘটনাও রয়েছে। কবরস্থানের ভিতর দিয়ে হাসপাতালে প্রবেশ করতে হয়। রাতের বেলায় ভর্তি থাকা অবস্থায় ভয়ে বের হওয়া যায় না। এছাড়া ভর্তি রোগীদের আত্মীয় স্বজনরা রাতে ভয়ে আসেনা। যার কারণে প্রয়োজনের সময় ওষধপত্র না আনতে পারায় বহু বিপদের সম্মুক্ষীন হতে হয়।

আরো পড়ুন :
দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধ থাকার পর ঢাকা-বেনাপোল রুটে ফের চালু হচ্ছে ট্রেন
শীতে কমলা খাওয়ার উপকারিতা

এ বিষয়ে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৪৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাদেক আলীর সাথে কথা বললে তিনি জানান, ড্রেন ও সড়কের কাজ চলমান রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সকল সমস্যার সমাধান হবে। তবে স্থানীয়দের দাবী সড়কের যতটুকু জায়গা হাটার উপযোগী সে জায়গাতেও অহেতুক মাটি ফেলে আটকে রাখা হয়েছে। এমন গুরুত্বপূর্ণ সড়কের কাজে ধীর গতি হওয়ায় আমাদের ভয়াবহ বিপদের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

নভেম্বর ১৯.২০২১ at ১৮:৩৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/শেরাহা/রারি