শেখ হাসিনা সেনানিবাসে অধিগ্রহনকৃত জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ দাবি

পটুয়াখালীর লেবুখালী শেখ হাসিনা সেনানিবাসের অধিগ্রহণকৃত প্রায় সাড়ে ৪শ’ একর জমির ৯শ’৯০ অসহায় পরিবার এখন পর্যন্ত তাদের ক্ষতিপূরণের অর্থ পায়নি। জেলা প্রশাসন ও সেনানিবাস কর্তৃপক্ষের ঠেলাঠেলি ও আইনী জটিলতায় আটকে থাকায় ক্ষতিপূরণের টাকা পেতে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। তাই ভুক্তভোগী ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় পরিবারগুলো দ্রুততম সময়ে তাদের ক্ষতিপূরণের অর্থ পেতে সেনানিবাস কর্তৃপক্ষ, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সমুহের উর্ধতন কর্মকর্তা, মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

বুধবার (১৭ নভেম্বর) প্রেসক্লাব দুমকির সভাকক্ষে আয়োজিত জনাকীর্ণ এক সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পক্ষে উপজেলার আলগি মৌজার জনৈক আজিম উদ্দিন তালুকদারের ছেলে মো. আবদুল হক তালুকদার লিখিত বক্তব্যে এসব অভিযোগ করেছেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, পটুয়াখালী জেলাসহ দক্ষিনাঞ্চলে বর্তমান সরকারের চলমান উন্নয়ন কর্মযজ্ঞের মধ্যে লেবুখালী শেখ হাসিনা সেনানিবাস দেশের সর্ববৃহৎ ক্যান্টনমেন্ট। এ সেনানিবাস নির্মাণ করতে দুমকি উপজেলার পাংগাশিয়া ইউনিয়নের আলগি, লেবুখালী ইউনিয়নের লেবুখালী ও আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের আঙ্গারিয়া মৌজার অন্তত: সাড়ে ৪শ’ একর জমি অধিগ্রহন করা হয়।

আরো পড়ুন:
বাংলাদেশ স্কাউটস-এর মাধ্যমে যশোরে ডেটল-হারপিক-এর সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণ
তালায় মাছের ঘের নেই, তবুও মিলেছে করোনার সরকারি প্রণোদনা

এছাড়া বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুধলমৌসহ আরও দু’টি মৌজার জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। বাকেরগঞ্জের দুধলমৌসহ অন্যান্য মৌজার অধিগ্রহণকৃত জমির মালিকরা তাদের ক্ষতিপূরণের টাকা হাতে পেলেও দুমকি উপজেলার জেএল-১ আলগী মৌজা, জেএল-২২ লেবুখালী মৌজা এবং আঙ্গারিয়া মৌজার অধিগ্রহনকৃত প্রায় সাড়ে ৪শ একর জমির ভিন্ন ভিন্ন বিএস খতিয়ানভুক্ত মালিকানার ৯শ’৯০ পরিবার ক্ষতিপূরণের টাকা পায়নি। তারা জেলা প্রশাসনের জমি অধিগ্রহণ শাখা ও সেনানিবাস কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার ধর্ণা দিলেও দু’বিভাগের ঠেলাঠেলি ও নানা আইনী জটিলতায় ক্ষতিপূরণের পাওনা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। সেনানিবাস কর্তৃপক্ষের বার বার আশ্বাস দিলেও তারা সঠিক মালিকানা নিশ্চিৎ হতে না পারার অযুহাতে টাকা ছাড় করছে না।

অপর দিকে জেলা প্রশাসনের অধিগ্রহণকৃত জমির বিপরীতে ক্ষতিপূরণের অর্থ ছাড় না হওয়ায় ক্ষতিপূরণের অর্থ বিতরণ আটকে আছে। তিনি (আ: হক তালুকদার)এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ২০২২সালের ৩০জুনের পর আর কাউকে ক্ষতিপূরণ টাকা দেয়া হবে না বলে সেনানিবাস কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছেন। আর এতে ফসলী সম্পত্তি হারা অসহায় পরিবারগুলো ক্ষতিপূরণের টাকা পেতে চরম অনিশ্চয়তায় ভুগছেন। তাই অনোন্যেপায় দিশেহারা অসহায় পরিবারগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের ক্ষতিপূরণের টাকা পেতে সেনানিবাস কর্তৃপক্ষ, প্রতিরক্ষা, আইন, ভূমিসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সমুহের সচিব, মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

নভেম্বর ১৭.২০২১ at ১৩:৩৮:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মজউ/জআ