বাংলাদেশকে জিততে হলে যা করতে হবে

দীর্ঘদিনের জয়ের খরা কাটাতে এবার মরিয়া বাংলাদেশ। এক সময় মালদ্বীপকে বলে কয়ে হারাতো বাংলাদেশ। ৮ গোলে হারানোর রেকর্ডও আছে। তবে এখন সেদিন নেই। ২০০৩ সালের পর থেকে দ্বীপদেশটিকে আর হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। এই তো গত মাসে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপেও হেরেছে তাদের কাছে। আজ চার জাতি প্রতিযোগিতায় আবারও মুখোমুখি বাংলাদেশ-মালদ্বীপ। এবার জয়ের স্বপ্ন দেখছে মারিও লেমসের দল। প্রত্যাশা করলেও, তা যে কঠিন—তা বলাই যায়।

কলম্বোর রেসকোর্স মাঠে জিততে হলে কয়েকটি জায়গায় বাংলাদেশকে বেশ উন্নতি করতেই হবে। মালদ্বীপের ফরোয়ার্ড বেশ শক্তিশালী। বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া আগে থেকেই সবাইকে সতর্ক করেছেন। বর্ষীয়ান আলী আশফাক, আলী ফাসির ও আসাদু্ল্লাহ আব্দুল্লাহ। এই ত্রয়ী মিলে জাতীয় দলে ৭৪টি গোল করেছেন! এর মধ্যে আশফাকেরই আছে ৫৩টি। এ ছাড়া হামজা মোহাম্মদসহ অন্যরা তো আছেনই। তাই যে করেই হোক, আটকাতে হবে এদের।

আরো পড়ুন:
কোন পাত্রে রান্না নিরাপদ?
দেশে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’

সেশেলসের বিপক্ষে আগে গোল করে শেষ মুহূর্তে গোল হজম করতে হয়েছে। দ্বিতীয়ার্ধে খেলোয়াড়রা কিছুটা অমনোযোগী হয়ে পড়েছিলেন। ক্লান্তও লেগেছিল তাদের। এই ম্যাচে তেমনটি হলে বড় বিপদ। কেননা মালদ্বীপের খেলোয়াড়রা দক্ষতায় অনেক এগিয়ে। যে কোনও মুহূর্তে গোল করতে পারদর্শী তারা। তাই সতর্ক থাকতে হবে ঈগলের মতো। অনেক দিন ধরেই সমস্যাটা প্রকট।

বাংলাদেশের ফরোয়ার্ডদের পা থেকে গোল আসছে না। সেশেলসের বিপক্ষে শুধু মোহাম্মদ ইব্রাহিম গোল পেয়েছেন। কিন্তু ব্যবধান আরও বাড়তো, যদি সুযোগগুলো কাজে লাগানো যেত। কিন্তু সুমন রেজা-সুফিলরা সে সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন কই। অন্যদের সামনে যে সুযোগ আসবে না তা-ও নয়। এই যেমন আগের ম্যাচে অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া বক্সের ভেতর বল পেয়েও লক্ষ্যে শট নিতে পারেননি। আবার বলা যায়, এই ম্যাচে সুযোগ কম আসবে। তাই যেটাই আসবে, কাজে লাগাতেই হবে।

নভেম্বর ১৩.২০২১ at ১০:৪৪:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/বাটি/জআ