রায়গঞ্জে নির্বাচিত মেম্বার প্রার্থীর উপর হামলা, আহত ১৫

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় ইউপি নির্বাচনে পরাজিত ইমতিয়াজ হাসান জিয়া মেম্বার প্রার্থী ও তার সমর্থকদের হামলায় নির্বাচিত প্রার্থী সেলিম রেজার আপন ছোট ভাইসহ ১৫ জন আহত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) রাত ৮ টার দিকে উপজেলার ৫নং চান্দাইকোনা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সিমলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, সাইদুল ইসলাম চাঁনের ছেলে অসিম সরকার (২৮), মৃত মজিবর রহমানের ছেলে হেলাল উদ্দিন (৩৫) মৃত নুর মোহাম্মাদের ছেলে সাজিদুল ইসলাম (২৮), শ্রী গকুল কুমার সাহার ছেলে তাপস কুমার (৩২), ছানোয়ার হোসেনের ছেলে জাকারিয়া হোসেন (জাকার) (৩০)সহ প্রায় ১৫ জন আহত হয়েছে।

আহতদের স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এদের মধ্যে অসিম সরকার গুরুত্বর আহতের জন্য শুক্রবার (১২ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টায় সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা শেখ ফজিল্লাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল
হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। বর্তমানে অসিম সরকার সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালের ৪ তলায় ভর্তি রয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ওই কেন্দ্র ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। রাত ৬ টায় ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করেন কেন্দ্রর দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং অফিসার জুগল কুন্ড ঘোষ। ফল ঘোষণার পর কেন্দ্রের বাইরে উত্তেজিত লোকজন কেন্দ্রের দিকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।

কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এস.আই) শাহ আলম জানান, ফলাফল ঘোষণার পর ৪নং ওয়ার্ডের ফুট বল প্রতীকের পরাজিত প্রার্থী ইমতিয়াজ হাসান জিয়া ভোট গননার ফল ভুল হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন। কিছুক্ষণ পর তিনি লোকজন নিয়ে আমাদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। এ সময় আত্মরক্ষার্থে ১৬ রাউন্ড গুলি করা হয়।

খবর পেয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, র‌্যাব, বিজিবি ও পুলিশের মোবাইল টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং কেন্দ্রে ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাসহ দায়িত্বরত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে যান। এতে আমাদের তিন পুলিশ ও দুই আনসার সদস্য আহত হয়েছেন।

আরো পড়ুন :
উপকূল দিবসে উপকূলের জীবন মান উন্নয়নের দাবী
গোমস্তাপুরের রহনপুরে ইউনিয়নে জাল ভোট দিবার অভিযোগ

নির্বাচিত মেম্বর প্রার্থী সেলিম রেজা বলেন, ভোট গননায় আমি নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার খবর পেয়ে পরাজিত প্রার্থীর সমর্থক মৃত ওরেজ খন্দকারের বড়ছেলে সেলিম খন্দকার, ছোট ছেলে আসলাম খন্দকারের নেতৃত্বে বিএনপি’র সমর্থক মৃত শিরুর ছেলে সুজন ও সাকিল, সোরহাব খন্দকারের ছেলে কাফি, মৃত মুজাম খন্দকারের ছেলে সোহাক খন্দকারসহ প্রায় ৪০/৫০ জন দেশী ও অস্ত্র-সস্ত নিয়ে আমার ও আমার সমর্থকদের উপরে হামলা করে।

হামলায় আমার ছোট ভাইয়ের মাথায় আঘাত করে। আঘাতে মাথায় ৬টা সেলাই দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে আমার ছোট ভাই সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

প্রিসাইডিং অফিসার জুগল কুন্ড ঘোষ বলেন, কেন্দ্রে হামলার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অবগত করা হয়। পরে পুলিশের সহযোগিতায় ভোটের বাক্স উপজেলায় নিয়ে ফল ঘোষনা করা হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ইমার্জেন্সির ডাক্তার ফয়সাল আহম্মেদ বলেন, রোগীর আশংকাজন অবস্থায় সকালে হাসপাতালে আসে ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এ ব্যাপারে রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি হামলার বিষয়টি শুনেছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নভেম্বর ১২.২০২১ at ১৮:৩০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/অরা/রারি