ভারতের রবীন্দ্র সদনের এক্সাইড মোড়ে রোগা চেহারার বছর কুড়ির যুবক ফুটপাথে পড়ে যায়। মাটিতে পড়ে থাকা যুবক নিজেকে বুটের তলা থেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছেন বারবার। মাটিতে শুইয়ে রাখতে বারবার বুকে-পিঠে লাথি মারছেন গ্রিন পুলিশ। বুট পায়ে চেপে ধরছেন ওই যুবককে।
রবিবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল পখচারী। দৃশ্যটি ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেন। যার ফলে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়।
কলকাতা পুলিশ বলেন, ‘আমি ঘটনাটি দেখে বিব্রত। ঘটনার জন্য দুঃখিত। রাতে ওই গ্রিন পুলিশকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ওই সময়ে ওখানে ডিউটিতে থাকা ট্রাফিকের সব অফিসারদের সোমবার সকালে আমার অফিসে ডেকে পাঠিয়েছি। তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও কী করে এই অমানবিক ঘটনা ঘটল, তা জানতে চাওয়া হবে। অফিসারদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য তদন্ত হবে।’
তন্ময় নিজে ঘটনার কথা স্বীকার করে নেন এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত অন্য পুলিশ কর্মীরা জানান, এ দিন সন্ধ্যায় এক্সাইড মোড় থেকে হাওড়াগামী একটি চলন্ত বাস থেকে মহিলার ব্যাগ ছিনতাই করেছিলেন ওই যুবক। বাস থেকে নেমে পালাতে গিয়ে জনতার হাতে ধরা পড়ে মার খাচ্ছিলেন তিনি। তন্ময় প্রথমে তাকে উন্মত্ত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করেন। তখন ওই যুবক পালানোর চেষ্টা করতেই তাকে আটকানোর চেষ্টা করেন তন্ময়। সেই কারণেই ফুটপাথে ফেলে পা দিয়ে চেপে ধরেছিলেন।
প্রশ্ন উঠেছে, যে অপরাধই ওই যুবক করুন না কেন, ধরা পড়ার পরে এমন অমানবিকভাবে পা দিয়ে চেপে ধরে মারধর করতে হবে কেন। কেন তাকে জনরোষ থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হলো না? তন্ময়ের যুক্তি, ‘সেই সময় ওই যুববকে সামলানো যাচ্ছিল না। নেশাগ্রস্ত ওই যুবকের গায়ে ভীষণ শক্তি। তাই বাধ্য হয়েই তার বুকে পা দিয়ে আটকে রাখা হয়েছিল।’
নভেম্বর ০৮.২০২১ at ১৩:৩৪:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/সনি/জআ