লঞ্চ চলাচলও বন্ধ ঘোষণা

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির মধ্যে বাড়ানো হলো জ্বালানি তেলের দাম। ভোক্তা পর্যায়ে লিটার প্রতি ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা নির্ধারণ করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। প্রতি লিটারে মূল্য বেড়েছে ১৫ টাকা করে। ৪ নভেম্বর মধ্যরাত থেকে বাজারে এ মূল্য কার্যকর হয়েছে। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ইতোমধ্যে সরব হয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকাল থেকে চলছে অঘোষিত পরিবহন ধর্মঘট। তবে পণ্যবাহী ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিকরা আনুষ্ঠানিকভাবে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন।

এবার অভ্যন্তরীণ নৌপথেও লঞ্চ না চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন লঞ্চ মালিকরা। শনিবার (৬ নভেম্বর) লঞ্চ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম ভূঁইয়া সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

যাত্রীবাহী লঞ্চের ভাড়া ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ১ টাকা ৭০ পয়সার পরিবর্তে ৩ টাকা ৪০ পয়সা ও ১০০ কিলোমিটারের পর ১ টাকা ৪০ পয়সার বদলে ২ টাকা ৮০ পয়সা করার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল সংস্থা।

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়নি, সমন্বয় করা হয়েছে। ভারতসহ সারা বিশ্বে দাম বৃদ্ধি এবং পাচার ঠেকাতেই সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে শনিবার (৬ নভেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে ভার্চুয়ালি এক মতবিনিময় সভায় এ সব কথা বলেন  বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

নসরুল হামিদ বলেন, আমরা জ্বালানি তেলের দাম বিশ্ববাজারের সাথে মিলিয়ে সমন্বয় করেছি। বিশ্ববাজারে দাম কমলে আমরাও আবার দাম কমিয়ে দেব। দাম সমন্বয় না করলে, জ্বালানি তেল পাচার হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

আরও পড়ুন:
শিবগঞ্জে ৫০তম জাতীয় সমবায় দিবস পালিত
শিবগঞ্জে ৫০তম জাতীয় সমবায় দিবস পালিত

তিনি আরও বলেন, জ্বালানি তেলের দাম যে হারে সমন্বয় করা হয়েছে, তাতে গণপরিবহনে ১০ কিলোমিটারে যাত্রী প্রতি ভাড়া ৯৩ পয়সার বেশি বাড়ার কথা না। ভাড়া বাড়ানোর নামে যাত্রীদের এভাবে জিম্মি করা উচিত হচ্ছে না।

পরীক্ষার্থী, চাকরিপ্রার্থী ও পণ্যপরিবহনসহ জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানান সেতুমন্ত্রী।

লন্ডনে অবস্থানরত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিজনিত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানান ওবায়দুল কাদের।

নভেম্বর ০৬.২০২১ at ১৮:৩৩১ :০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/সনি/জআ