চৌগাছায় শত্রুতা করে কৃষকের দেড় বিঘা জমির সিম গাছ কেটেছে দূর্বৃত্তরা

যশোরের চৌগাছার নারায়নপুর ইউনিয়নের হাজরাখানা গ্রামের এক কৃষকের দেড় বিঘা জমির ধরোন্ত সিমগাছ রাতের আধাঁরে কে বা কারা কেঁটে সাবাড় করে দিয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে দূর্বৃত্তরা জমির সমুদয় সিমগাছ কেটে দেয়। সকালে ক্ষেতে যেয়ে কৃষক সিমগাছ কাটার দৃশ্য দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। ভুক্তভোগী কৃষক সংশ্লিষ্ঠ থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।

হাজরাখানা গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে কৃষক তরিকুল ইসলাম। দীর্ঘদিন মালায়েশিয়ায় প্রবাস জীবন পার করে গত ৬ মাস আগে পিতার মৃত্যু খবরে দেশে চলে আসেন। বিদেশ তেমন কোন আয় রোজগার করতে না পারায় দেশে ফিরে মাঠে নানা ধরনের ফসলের চাষ করে সংসার চালাতে থাকেন।

চলতি মৌসুমে তিনি দেড় বিঘা জমিতে রুপভান জাতের আগাম সিমচাষ করেন। ইতোমধ্যে সিম উঠতে শুরু করেছে। গত শুক্রবারও তিনি ১ মনের বেশি সিম বিক্রি করেছেন। মঙ্গলবার দিনগত রাতে কে বা কারা ওই কৃষকের সিম ক্ষেতে যেয়ে জমির সমুদয় সিমগাছ কেটে সাবাড় করে দিয়েছে।

আরো পড়ুন :
সোনাখাড়া ইউপি চেয়ারম্যান রিপনের নৌকা প্রতিকে গণজোয়ার
চিলমারীতে জনগণের আস্থা ওসি আনোয়ারুল ইসলাম

ভুক্তভোগী কৃষক তরিকুল ইসলাম তার কষ্টের কথা বলতে যেয়ে ছোট্ট শিশুর মত ডুকরে ডুকরে কাঁদতে থাকেন। এ সময় তিনি বলেন, অনেক কষ্টে দিড় বিঘা জমিতে সিমচাষ করেছি। জমি প্রস্তুত থেকে এ পর্যন্ত ৭০/ ৮০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। এখন সিম উঠা শুরু করেছে, প্রতিটি গাছে ফুল আর ফলে ভরে গেছে কিন্তু এক রাতে সব কিছুই আমার শেষ করে দিয়েছে।

কান্না জড়িত কন্ঠে তিনি আরও বলেন, বিদেশে রোজগার করতে পারেনি, বাড়ি ফিরে পরিবার নিয়ে সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকতে মাঠে দিনরাত নিরালস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। সিমচাষ করে আকাশসম স্বপ্ন দেখেছিলাম, সেই স্বপ্ন আমার ভঙ্গ করে দিয়েছে। কে বা কারা এই জঘন্য কাজ করেছে তা কৃষক তরিকুল ইসলাম নিজেও জানেনা।

স্থানীয় বাসিন্দা, বাবুল আক্তার, হাফিজুর রহমানসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, কৃষক তরিকুল অত্যান্ত নিরিহ প্রকৃতির মানুষ, কারও সাথে তার কোন বিরোধ নেই। এ ঘটনা যারা জড়িত তাদের বিচার হওয়া উচিত সংশ্লিষ্ঠ গ্রামের ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান মিলন বলেন, মানুষ হয়ে একজন মানুষকে এমন ক্ষতি করতে পারে আমার কোন বুঝে আসছেনা। ঘটনার সাথে যারাই জড়িত তাদের খুজে বের করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।

নভেম্বর ০৩.২০২১ at ১৯:৫৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মই/রারি