ইংলিশদের দাপটে স্বপ্ন ধূসর টাইগারদের

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভপর্বে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটা হাতের মুঠো থেকে ছুটে গিয়েছিল ক্যাচ মিসের ভুলে। তবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ, এমন আশায় ছিলেন সমর্থকরা। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাট হাতে কোন দাপট দেখাতে পারেনি লিটন, সাকিব ও মুশফিকরা। ৯ উইকেটে ১২৪ রান তুলতে সক্ষম হয় টাইগাররা। এত অল্প রানের জবাবে ৮ উেইকেটে হেঁসে খেলে জিতেছে ইংল্যান্ড। তাতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে ওঠার স্বপ্ন ধূসর হয়ে গেলো টাইগারদের।

১২৫ রানের লক্ষ্যে নেমে আগ্রাসী ব্যাটিং শুরু করেন জস বাটলার ও জেসন রয়। ২৯ বলে ৩৯ রানের এই জুটি ভেঙে ব্রেক থ্রু আনলেন নাসুম আহমেদ। ১৮ বলে ১ চার ও ১ ছয়ে ১৮ রান করে লং অফে মোহাম্মদ নাঈমকে ক্যাচ দেন বাটলার। তবে বিশ্বকাপের অভিষেক ম্যাচে শরিফুল ইসলাম প্রথম উইকেট পেলেন। তার শিকার ইংল্যান্ডের ওপেনার জেসন রয়। ডেভিড মালানের সঙ্গে ৪৮ বলে তার ৭৩ রানের জুটি ভাঙেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের স্থলাভিষিক্ত এই বাঁহাতি পেসার। জেসন ৩৮ বলে ৫ চার ও ৩ ছয়ে ৬১ রান করে নাসুম আহমেদকে ক্যাচ দেন। এরপর ডেভিড মালার ২৮ ও জনি ৮ রানে অপরাজিত ছিলেন।

এদিন টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার দলপতি মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু ব্যাট হাতে দুই ওপেনার লিটন ও নাইম ভালো শুরু করতে পারেনি। এমনকি দলীয় ১৪ রানে হোচট খায় টাইগাররা। আগের ওভারের শেষ দুই বলে লিটন দাস টানা চার মারেন মঈন আলীকে। কিন্তু পরের ওভারে ইংল্যান্ড স্পিনারের খেলা প্রথম বলেই আউট হন তিনি। ৮ বলে ৯ রান করেন লিটন। পরের বলে বাজে ক্রিকেট খেলে মিড অনে ক্রিস ওকসের সহজ ক্যাচ হন নাঈম। ৭ বলে ৫ রান করেন এই ওপেনার। দুই ওপেনার দ্রুত বিদায় নেওয়ার পর দায়িত্বশীল ব্যাটিং প্রত্যাশা করা হচ্ছিল সাকিব আল হাসানের কাছ থেকে। কিন্তু পারলেন না নিজের কাজটা করতে। মাত্র ৭ বল খেলে ৪ রানে আউট তিনি। ক্রিস ওকসের বলে শর্ট ফাইনে আদিল রশিদের দুর্দান্ত ক্যাচ হন সাকিব। এরপর মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্ট করে বাংলাদেশ।

আরো পড়ুন:
জয়পুরহাটে মোবাইলে গেম খেলতে দিয়ে শিশু ধর্ষণের চেষ্টা, যুবক গ্রেফতার
চৌগাছায় বিদ্রোহী প্রার্থীকে হুমকির অভিযোগ

এদিকে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফিরেন মুশফিক। তিনি ৩০ বলে ৩ চারে ২৯ রান করেন। এরপর তাড়াহুড়ো করে খেলতে গিয়ে আউট হন আফিফ। লিয়াম লিভিংস্টোনের বলটি বৃত্তের মধ্যে পাঠিয়েই মাহমুদউল্লাহ সিঙ্গেল নিলেন। টাইমাল মিলস নন স্ট্রাইক এন্ডে থ্রো করতে গিয়েও করলেন না। জস বাটলারের দিকে পাঠালেন। কিন্তু ততক্ষণে আফিফ দ্বিতীয় রান নিবেন কি না বুঝলেন না। তবে রান নিতে যাওয়ার সময় মাহমুদউল্লাহ নো কল করলেন। তাতেই দ্বিধান্বিত আফিফ ক্রিজের বাইরে গেলেন এবং বাটলার রান আউট করেন। এরপর ভালো খেলার আভাস দিচ্ছিলেন মামাহমুদউল্লাহ। কিন্তু তিনিও দায়িত্ব নিতে পারলেন না। ১৯ রান করে লিভিংস্টোনের বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্রিস ওকসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন। ২৪ বলে ১ চারে ১৯ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। রিয়াদের বিদায়ের পর তাড়াহুড়ো করে খেলতে গিয়ে ১১ রান করে আউট হন মেহেদি। এরপর নুরুল হাসান ও নাসুম আহমেদ ঝড়ো গতিতে রান তোলার চেষ্টা করেন।

অক্টোবর  ২৭.২০২১ at ২১:০৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/ভক/জআ