দিনাজপুরের বীরগঞ্জ পৌরশহরের সুজালপুর মৌজার কোটি কোটি টাকা মূল্যের জমি ও বাড়িঘর নিয়ে বিবাদ তুঙ্গে। মরহুম মুজাম চৌধুরীর ২ স্ত্রীর ২ ছেলে মরহুম মাহমুদুল হাসান মামুন চৌধুরী ও মারুফ হাসান ইমন চৌধুরী।
সম্প্রতি মামুন চৌধুরী ৯ বছরের ১ সন্তান আয়ান, স্ত্রী আকতারা বানু ও তার মাকে রেখে মারা যায়। পৈত্রিক সম্পত্তি ও বসতবাড়ি নিয়ে বিমাতা ভাই ইমন চৌধুরীর সাথে তার বিধবা ভাবী অর্থাৎ অসহায় নারীর সাথে বিবাদ শুরু হয়।
মৃত মামুন চৌধুরীর স্ত্রীর থানায় দাখিলি অভিযোগ ও বর্ণনা মতে ২৪ অক্টোবর ২০২১ ইং তারিখে ইমন চৌধুরী সকালে হঠাৎ জেলা শহর থেকে কতিপয় সন্ত্রাসী প্রকৃতির এবং স্থানীয় ২/৩ জন মাস্তান লোকজন নিয়ে তাদের দখলীয় বসতবাড়ির দীর্ঘদিনের ভাড়াটিয়া পরিবারকে জোরপূর্বক তাড়িয়ে দিয়ে সেই ঘর ভাংচুর চালায়।
জমির উপরিস্থিত প্রাচীন আমগাছ কর্তন করার সময় বাধা দিলে ইমন ও সন্ত্রাসীরা আকতারার ভাতিজা রাজুকে কিল-ঘুষি মারে, লাঞ্ছিত করে। পুলিশের হস্তক্ষেপে ভাংচুর বন্ধ ও কর্তনকৃত গাছ আটক করা হয়। অপর দিকে তফসিল বর্নিত বিবাদমান জমির একাংশে বসবাসকারী রেকর্ডিয় মালিক বীরগঞ্জ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সাবেক মুয়াজ্জিন মরহুম আজিম মিয়ার ওয়ারিশ কাজী আবেদ আলী, সলিমুল্লা গং জানান রেকর্ড মূলে তারা এই সম্পতির মালিক। তার পিতা কখনোই সম্পত্তি বিক্রি বা কারো নিকট হস্তান্তর করেন নাই।
মৃত মুজাম চৌধুরী প্রভাবশালী এবং তারা নিরিহ হওয়া স্বত্বেও জমি থেকে উচ্ছেদ করার আমৃত্যু চেষ্টা করে সফল হতে পারে নাই। সলিমুল্লা গং জানান, আমার বাবা বাংলা লেখাপড়া জানতেন না এবং আমাদের মত বাংলা বলতেও পারতেন না। তিনি সব সময় উর্দু ভাষায় কথা বলতেন ও স্বাক্ষর করতেন। মুজাম চৌধুরীর দলিল দস্তাবেজ পর্যালোচনায় দেখা যায় তিনি যার কাছে দলিল নিয়েছেন উক্ত দলিল গুলোতে আমার বাবার নাম বাংলায় স্বাক্ষর করা, যা সম্পুর্ন বানোয়াট, প্রতারনা।
আমরা এখনো ভোগ দখল করে আছি এবং জমির প্রকৃত মালিক। আমরা সকল অত্যাচার, নির্যাতন সহ্য করে এমন কি জীবন দিয়ে হলেও জমি রক্ষা করতে প্রস্তুত আছি, কোন প্রকার হুমকি ধামকিতে ভীত নই। ২৬ অক্টোবর ২১ তারিখে কাজী আবেদ গং তাদের বাড়ীর সাথে পশ্চিম পাশে ঐ জমিতে নতুন করে ঘর নির্মাণ শুরু করলে ইমন চৌধুরী থানায় অভিযোগ করেন। থানা পুলিশ আইন শৃংখলা রক্ষার স্বার্থে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঐ সম্পত্তিতে কোন পক্ষই যেন নতুনভাবে কোন কাজ করতে না পারে মর্মে নির্দেশ দেন।
কড়া হুশিয়ারী দিয়ে বলেন কেউ এই নির্দেশ অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সাফ জানিয়ে দেয়া হয়। বীরগঞ্জের সচেতন মহল মনে করেন সুদীর্ঘদিনের বিবাদ দ্রুত নিষ্পত্তিতে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন।
অক্টোবর ২৭.২০২১ at ১৭:০২:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/প্ররাজি/রারি