যুবলীগ চেয়ারম্যান পরশের নামে অর্থ আদায়ে দুজন কারাগারে

ফোন নম্বর স্পুফ করে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের নামে অর্থ আদায়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার ফিরোজ খন্দকার ও তার সহযোগী রাকিবুল ইসলামকে তিনদিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

শনিবার (২৩ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারি এ আদেশ দেন।

এরআগে এদিন রিমান্ড শেষে তাদের দুইজনকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাদের বিরুদ্ধে মামলাটির সুষ্ঠু তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে কারাগারে আটক রাখতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে বিচারক এ আবেদনটি মঞ্জুর করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ফিরোজ যুবলীগ চেয়ারম্যানের ফোন নম্বর স্পুফ করে সংগঠনের বিভিন্ন জেলার নেতাকর্মীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলেন। সংগঠনের বিভিন্ন কর্মসূচির কথা বলে কৌশলে পরশ পরিচয়ে টাকা দাবি করে বিকাশ-রকেট নম্বর দিয়ে টাকা চাইতেন। চেয়ারম্যানের ফোন পেয়ে নেতারা উৎফুল্ল মনে টাকা পাঠাতেন। পরে সেই টাকা ফিরোজ বিভিন্ন এটিএম বুথ থেকে তুলতেন।

এ কাজে ফিরজ প্রথমে ইন্টারনেট থেকে যুবলীগের বিভিন্ন কমিটির গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের ফোন নম্বর সংগ্রহ করেন। এরপর সেসব ফোন নম্বরে ডায়ালার অ্যাপের মাধ্যমে নম্বর স্পুফ করে ফোন করতেন। এসব ঘটনায় যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস বাধ্য হয়ে তার ফোন নম্বরটি বন্ধ করে দেন। নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত একটি সতর্কবার্তা পোস্ট করেন শেখ পরশ। পরে ১৫ অক্টোবর যুবলীগ চেয়ারম্যানের পক্ষে রাজধানীর বনানী থানায় মামলা করেন ব্যারিস্টার রানা তাজউদ্দিন খান।

এরপর ১৮ অক্টোবর রাতে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আজীমনগর থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরদিন তাদেরকে আদালতে হাজির করে তদন্ত কর্মকর্তা সাতদিনের রিমান্ড চাইলে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

অক্টোবর  ২৩.২০২১ at ২৩:৩৯:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/জআ