বিশ্ব ছাত্র দিবস

১৫ অক্টোবর, বিশ্ব ছাত্র দিবস। ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিজ্ঞানী এপিজে আবদুল কালামকে শ্রদ্ধা জানাতেই তার জন্মদিনে বিশ্ব ছাত্র দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয় জাতিসংঘ। ২০১০ সাল থেকে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। এ বছর (২০২১ সালে) বিশ্ব ছাত্র দিবসের প্রতিপাদ্য হলো- ‘মানুষ, গ্রহ, সমৃদ্ধি এবং শান্তির জন্য শেখা’।

এপিজে আবদুল কালাম শুধু একজন বিজ্ঞানী বা রাজনীতিবিদ ছিলেন না, ছাত্র জীবনের উপর বরাবর গুরুত্ব দিয়ে এসেছেন। মনে করতেন, বিশ্বে ভাল ভবিষ্যত গড়তে পারে ছাত্ররাই। ছাত্রদের অবদানে তৈরি হয় সুঠাম, সুষ্ঠু সমাজ। ছাত্রদের প্রতি তার ভালবাসাকে সম্মান জানাতে ২০১০ সাল থেকে জাতিসংঘ কালামের জন্মদিনকে বিশ্ব ছাত্র দিবস হিসেবে পালন করে থাকে।

এপিজে আবদুল কালাম বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। আরও বড় কথা যে ভূমিকাতেই তাকে দেখা যাক না কেন, তিনি ছিলেন বিতর্কের ঊর্ধ্বে। শিক্ষক হিসেবে তিনি ছিলেন এক অনুপ্রেরণামূলক চরিত্র। ছাত্র সমাজের প্রতি তার অগাধ আস্থা ছিল। কালাম মনে করতেন, ছাত্র সমাজের প্রগাঢ় জ্ঞান দেশ গঠনে সাহায্য করে। ছাত্র সমাজকে তিনি এতটাই মূল্য দিতেন যে, রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন বহুবার ছাত্রদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেছেন। সম্মান করতেন শিক্ষকদের।

তিনি বিশ্বাস করতেন সুষ্ঠু সমাজ গঠনের মূল কারিগর শিক্ষক সম্প্রদায়। এমনকী নবীন প্রজন্মের সঙ্গে কথোপকথনের ভিত্তিতে তিনি একাধিক বই লিখেছিলেন। তার মধ্যে পাঠকমহলে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে, ইগনাইটেড মাইন্ডস।

আরো পড়ুন :
বর্তমান সরকার সব ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষের কল্যাণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে- পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী
সিলেটের গোলাপগঞ্জে টিলা কাটার দায়ে ১০ হাজার টাকা জরিমানা

কালামের এই অমোঘ অবদানের জন্য জাতিসংঘ ২০১০ সালে তার জন্মদিনকে বিশ্ব ছাত্র দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। ২০০২ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছর রাষ্ট্রপতি পদে ছিলেন তিনি। তবে রাজনীতিবিদ হোন বা রাষ্ট্রপতির ভূমিকা, তার নিজের কাছে সবচেয়ে প্রিয় ছিল শিক্ষকতা। ২০১৫ সালে তিনি মারা যান। তবে ওই বছরই অসাধারণ একটি কথা বলেছিলেন তিনি। আবদুল কালাম বলেছিলেন, আমি যেদিন মারা যাব, সেদিনটা বাড়তি ছুটি হিসেবে ঘোষণা না করে বরং একটা বাড়তি দিন কাজ করবেন।

এপিজে আবদুল কালামের জন্ম ভারতের তামিলনাড়ুর রামেশ্বরে ১৯৩১ সালের ১৫ অক্টোবর। তিনি ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘ভারতরত্ন’ ছাড়াও ‘পদ্মভূষণ’ ও ‘পদ্মবিভূষণ’ খেতাবে ভূষিত। তিনি ২০০২ সালে বিজেপি সরকারের আমলে ভারতের একাদশতম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। শিক্ষাজগতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে গেছেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি। সবসময় সহজ সরল জীবন-যাপনে তিনি ছিলেন অভ্যস্ত। ২০১৫ সালের ২৭ জুলাই মারা যান তিনি।

অক্টোবর ১৫.২০২১ at ০৯:০০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/জানি/রারি