উদ্দেশ্যমূলকভাবে কোনো স্বার্থান্বেষী মহল এ ঘটনা ঘটিয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ফাইল ছবি

কুমিল্লায় উদ্দেশ্যমূলকভাবে কোনো ষড়যন্ত্রকারী পূজা মন্ডপে হনুমান মূর্তির কোলে পবিত্র কোরআন রেখে গেছেন। এই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে, এটিকে কেন্দ্র করে কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দির ও হিন্দুদের বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন ।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কুমিল্লার ঘটনার জেরে চাঁদপুরে চারজনের মৃত্যু হয়েছে, এটি দুঃখজনক। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঘটনায় সন্দেহভাজন কয়েকজনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে প্রকৃত ঘটনা তদন্তের পরে নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হবে।

সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। অপরাধীরা রেহাই পাবে না। ফেসবুকে মিথ্যা প্রচারণার মাধ্যমে বিশৃঙ্খলা করা হলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, কুমিল্লায় বুধবার (১৩ অক্টোবর) পবিত্র কোরআন অবমাননার কথিত অভিযোগে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এ সহিংসতার পেছনে একটি কুচক্রীমহল জড়িত বলে ধারণা স্থানীয়দের। তারা বলছেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে স্বার্থ হাসিলের জন্য এ ঘটনা ঘটিয়েছে একটি গোষ্ঠী। সকালে যখন পুরোহিত এসে দেখেন হনুমান মূর্তির কোলে কে বা কারা পবিত্র কোরআন রেখে গেছেন। এটা দেখে পুরোহিত ঘটনাস্থলে উপস্থিত মুসলিমদের অনুরোধ করেন পবিত্র কোরআন শরিফটা সরিয়ে নেওয়ার জন্য। কিন্তু তারা পুরোহিতের কথায় কান না দিয়ে জাতীয় জরুরি নম্বর ৯৯৯-তে কল দেয়।

আরো পড়ুন:
কোটি টাকার ইয়াবা-আইসসহ শাশুড়ি ও জামাই আটক
ঝিনাইদহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত, আহত-৪

খবর পেয়ে স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসে পবিত্র কোরআনটি নিজ জিম্মায় নিয়ে বলেন, এ সময় ঘটনাস্থল থেকে কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একের পর এক উসকানিমূলক পোস্ট দেয়। ফলে এ খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে মুসলমানদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়, যা পরবর্তীতে সহিংসতায় রূপ নেয়। যারা পরিকল্পিতভাবে দুই সম্প্রদায়কে আলাদা করার অপচেষ্টায় লিপ্ত নেপথ্যের সেই ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

অক্টোবর  ১৪.২০২১ at ১৭:০৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/ভক/জআ