পূজার আহারে নতুনত্ব ভোগের স্বাদে সাবুদানার পোলাও!

হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পূজা। পূজার এই কয়েকটা দিন আনান্দ, উল্লাস, আড্ডা, কবজি ডুবিয়ে খাওয়া কিন্তু অষ্টমীর দিনটা অঞ্জলি দিয়ে দুপুরে ভোগ খেতেই ইচ্ছে করে অধিকাংশদের।

পূজার ভোগ বলতে আমরা সাধারণত বুঝি গোবিন্দভোগ চাল আর সোনামুগ ডাল মিশিয়ে তৈরি স্বাদের খিচুড়ি। এমন খিচুড়িতে গাওয়া ঘি মিশিয়ে নিলে তো কথাই নেই! ঠিক যেন অমৃত! কিন্তু অনেকেই এ দিনে খাবারের অভ্যাসে নতুনত্ব আনতে চান। এদিনে নতুন কিছু হলে মন্দ হয় না। এ জন্য এবার ভোগের স্বাদে সাবুর পোলাও হলে খারাপ কি। এ পোলাওয়ের প্রধান উপকরণই হলো- সাবুদানা।

অনেকেই অষ্টমীর দিন উপোস করে থাকেন। আর উপোস করলে সাধারণত সাবুজাতীয় খাবার অথবা ফলমূল খেয়েই থাকতে হয়। তাই একটু রুচি পালটাতে সাবুর পোলাও ট্রাই করা যেতে পারে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, উপোস করে থাকলেও সাবুর পোলাওয়ের মতো সাত্ত্বিক ভোগ দারুণ উপাদেয়। যাই হোক, কথা না-বাড়িয়ে চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে তৈরি করবেন সাবুর পোলাও।

আরো পড়ুন:
রাজধানীর গ্রিন রোডে গৃহকর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু, বাড়ি ঘেরাও
বিজিবিতে ‘সিপাহী (জিডি)’ পদে চাকরির সুযোগ

সাবুর পোলাও রান্না রেসিপি:
সাবু এমনিতে খুবই হালকা খাবার। খেতে তো ভালোই, সেই সঙ্গে শরীরে প্রচুর এনার্জিও জোগায় সাবু। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং আয়রন রয়েছে। যা শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তাই উপোসের সময় শরীরকে সতেজ রাখে সাবু। এটা মেটাবলিজম বাড়ায় এবং হজমশক্তিও বাড়াতে সাহায্য করে।
কি কি উপকরণ প্রয়োজন:
১৫০ গ্রাম সাবু দানা
৪০ গ্রাম কাজুবাদাম
দুটো মাঝারি আলু
২০ গ্রাম কাঁচা বাদাম
১/২ টেবিল-চামচ গোলমরিচ
১ চা-চামচ সয়াবিন তেল
১ টেবিল-চামচ ঘি
৫০ গ্রাম ধনেপাতা
৭টি কাঁচা লঙ্কা
২ টেবিল-চামচ লেবুর রস
১ চা-চামচ গোটা সরষে
স্বাদ মতো লবণ

রান্না প্রণালী:
প্রথমে সাবুদানাটা ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার পানিতে ভিজিয়ে রেখে দিতে হবে। ৪-৫ ঘণ্টা ধরে সাবুদানা ভিজতে রাখতে হবে।
আলুটা মাঝারি আঁচে রেখে সেদ্ধ করে নিতে হবে। আলু মোটামুটি নরম হয়ে এলে আঁচ বন্ধ করে ঠান্ডা করে নিতে হবে। তবে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে, যাতে আলুটা বেশি সেদ্ধ যেন না-হয়। ঠান্ডা হলে আলুর খোসা ছাড়িয়ে ডুমো-ডুমো করে কেটে নিতে হবে। এর পর ধনেপাতা এবং মরিচ কুচিয়ে রাখতে হবে।

আরো পড়ুন:
বিজিবিতে ‘সিপাহী (জিডি)’ পদে চাকরির সুযোগ
রাজধানীর গ্রিন রোডে গৃহকর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু, বাড়ি ঘেরাও

এবার মাঝারি আঁচে একটা কড়াই বসাতে হবে। কড়াইটা গরম করে তাতে কাঁচা বাদাম দিয়ে শুকনো খোলায় ভেজে তুলতে হবে। এর পর তাতে তেল দিয়ে গরম করতে হবে। তেলটা গরম হলে তার মধ্যে কাজুবাদামগুলো ছেড়ে দিতে হবে। কাজুবাদামটা খানিক ভেজে তুলে রাখতে হবে। এর পর ওই একই কড়াইয়ে ঘি দিয়ে ঘিটা গরম করে তার মধ্যে গোটা সরষে ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়নের গন্ধ বেরিয়ে এলে তার মধ্যে কুচিয়ে রাখা মচির ছেড়ে দিতে হবে। খানিক নাড়াচাড়া করে এ বার কেটে রাখা আলু ঘিয়ের মধ্যে ছেড়ে দিতে হবে। আলুটা ভাজা হলে লালচে বাদামি রঙের দেখাবে। আলু ভাজা হলে তার মধ্যে সাবুদানা যোগ করতে হবে। নাড়াচাড়া করে এ বার লেবুর রস, গোলমরিচের গুঁড়ো এবং স্বাদমতো লবণ দিয়ে দিতে হবে। পুরোটা মেশানোর পর একটা ঢাকনা দিয়ে কড়াইটা ঢেকে ২-৩ মিনিট রেখে দিতে হবে।

 শেষে, ঢাকনা খুলে একটা সার্ভিং ট্রে-তে ঢেলে নিতে হবে। তার পর তাতে আগে থেকে ভেজে রাখা বাদাম ও কাজুবাদাম এবং কুচিয়ে রাখা ধনেপাতা ছড়িয়ে দিতে হবে। হয়ে গেল সাবুর পোলাও।

পরিবেশন ডিসে সুন্দর করে সাজিয়ে পরিবারে সবাইকে এবং অথিতিকে পরিবেশন করুন। এ গরম গরম সাবুর পোলাও সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। সাত্ত্বিক ভোগের স্বাদেই না হয় জমে যাক এবারের পূজার আহার!

অক্টোবর  ১৩.২০২১ at ১৩:১৭:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/সনি/জআ