বিকালে নেপালের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের জয়ের জন্য নেপালের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। লক্ষ্য একটাই জয় এনে খেলে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করা। আত্মবিশ্বাসী দল নিয়ে ইতিহাস সৃষ্টির অপেক্ষায় জামাল ভূঁইয়ারাও। তবে চাপমুক্ত থেকে নেপালও চায় প্রথমবারের মতো ফাইনাল খেলতে। মালদ্বীপের রাশমি ধানুতে ম্যাচটি মাঠে গড়াবে বুধবার (১৩ অক্টোবর) বিকেল ৫টায়।

চলতি বছর মার্চে নেপালে তিন জাতি টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ স্বাগতিক নেপালের সঙ্গে সাবেক কোচ জেমি ডে’র খামখেয়ালিপনায় হেরে যায় বাংলাদেশ।

কিন্তু তার আগের ম্যাচেই নেপালকে রুখে দিয়েছিল বাংলাদেশ। ৬ মাস পর প্রায় সেই অপরিবর্তিত একাদশ নিয়েই মাঠে নামছে নেপাল ও বাংলাদেশ। তবে এবার নিরপেক্ষ ভেন্যুতে ম্যাচ। সাফের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে হিমালয়সম প্রত্যাশা নিয়ে অপেক্ষা করছে দর্শকরা।

নেপালের সঙ্গে ম্যাচ জিতলেই ফাইনালে উঠে যাবে বাংলাদেশ। যদি না ভারত-মালদ্বীপের ম্যাচ ড্র না হয়। এসব সমীকরণ মাথায় না নিয়ে মাঠের ৯০ মিনিটকে উপভোগ করতে বললেন দেশের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার আশরাফ উদ্দিন আহমেদ চুন্নু।

মতিন কিংবা সুমন রেজারা কি বুঝতে পারছেন তাদের কাঁধে গুরুদায়িত্ব কতটা! অবশ্য শুধু তা বুঝলেই চলবে না। মাঠে থাকতে হবে প্রতিফলন। যে ডিফেন্সিভ কৌশলে মাঠে নামবে নেপাল সেটা ভাঙতে যে সুযোগ মিলবে গুটিকয়েক। এবারও যদি ভুল হয়, তবে ভুলের বৃত্তেই আটকে যাবে সম্ভাবনা।

যে অজুহাতে মালদ্বীপের বিপক্ষে হার, এবার আর তার সুযোগ নেই। দলের বিশ্রাম হয়েছে। নিষেধাজ্ঞায় থাকারাও ফিরছেন। ইয়াসিনের ঘাটতি হয়তো পুষিয়ে দেবেন কেউ। অপেক্ষা এবার একটা দল হয়ে লক্ষ্য পূরণ।

বাংলাদেশের কোচ অস্কার ব্রুজন বলেন, ‌’ফুটবলারদের প্রমাণ করতে হবে আমাদের ফুটবল এগিয়ে চলছে। আমি কোনো অজুহাত দাঁড় করাতে চাই না। নেপাল হয়তো ডিফেন্ড করবে। কাউন্টার অ্যাটাকে যাওয়ার চেষ্টা করবে। কারণ ওদের ড্র করলেও চলবে। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য একটাই। জয় তুলে নিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করা।‌’

পরিসংখ্যানের পাতায় নেপালের বিপক্ষে এগিয়ে বাংলাদেশ। ১৩ জয়ের বিপরীতে হার ৭টি। কিন্তু সাম্প্রতিক পারফরমেন্সে এগিয়ে হিমালয় কন্যারা। যদিও এসব নিয়ে ভাবতে নারাজ আত্মবিশ্বাসী কাপ্তান জামাল ভূঁইয়া।

আরও পড়ুন :
যুক্তরাষ্ট্রে চাকরি ছাড়ছেন লাখ লাখ মানুষ
জনতার মুখোমুখি আটঘরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান তানভীর ইসলাম

বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া বলেন,‌ ‘আমরা ইতিহাস সৃষ্টি করতে চাই। সেটা অবশ্যই নেপালকে হারিয়ে। দল ভালো অবস্থানে আছে। বিশ্রামের পর সবাই মুখিয়ে শতভাগ উজাড় করে দিতে। আমরা আত্মবিশ্বাসী। আমি স্ট্রাইকারদের ওপর ভরসা রাখতে চাই। কারণ তারা দারুণ একটা মৌসুম কাটিয়েছে।‌’

ঝুলিতে ছয় পয়েন্ট থাকায় এই ম্যাচে কিছুটা আপার হ্যান্ডে নেপাল। একটা ড্র তাদের নিয়ে যাবে প্রথম বারের মতো সাফের ফাইনালে। এটা চাপ সৃষ্টি করলেও তা নিতে নারাজ ওরা। উল্টো কথার লড়াইয়ে বাংলাদেশকেই চাপে রাখার চেষ্টা।

নেপালের সহকারী কোচ কিরণ শ্রেষ্ঠা জানান, ‌’আমরা চাপে আছে এটার সঙ্গে আমি একমত নই। বরং বলব চাপটা বাংলাদেশেরই বেশি। কারণ ওদের জিততেই হবে। আমাদের প্রথম বারের মতো ফাইনাল খেলার হাতছানি। আশা করছি, ছেলেরা তা করে দেখাবে।‌’

২০০৫ সালে সাফে সবশেষ ফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ। ১৬ বছর পর কি দক্ষিণ এশিয়ার সেরা মঞ্চে ওঠাতে পারবে জামাল ভূঁইয়ারা?

অক্টোবর  ১৩.২০২১ at ১০:১৯:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/সনি/জআ