প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে লাল-সবুজের বিশ্বকাপ জার্সি

আর কিছুদিন পরেই পর্দা উঠছে ওমানে। চার-ছক্কার ধুম-ধারাক্কা ক্রিকেটের। ইতোমধ্যে চারিদিকে ২০ ওভারের বিশ্বকাপকে ঘিরে উন্মাদনা তৈরি হয়ে গেছে। তাতে আরও রং ছড়াতে সোমবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি হোটেলে উন্মোচন হয়েছে সাকিব-মুশফিকদের বিশ্বকাপ জার্সি।

প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে এবারের বিশ্বকাপ জার্সি তৈরি করা হয়েছে। মূলত বাংলাদেশের জার্সির সামনের অংশ তৈরিতে যে সূতা ব্যবহার হয়েছে, সেটি রিসাইকেল জ্যাকার্ড ফেব্রিক নামে পরিচিত। সামনে ও পেছনের অংশ আলাদা। পেছনের অংশ বানানো হয়েছে ম্যাশ ফেব্রিক থেকে। এতে বাতাস আসা-যাওয়ার (এয়ার সার্কুলেশনের) ব্যবস্থা আছে। আরব আমিরাতের গরমের কথা বিবেচনা করেই এমন জার্সি প্রস্তুত করা হয়েছে।

বিশ্বকাপের দামামা বাজতেই সবার মুখে মুখে আলোচনা বিশ্বকাপ জার্সি নিয়ে। লাল-সবুজদের জার্সি কেমন হচ্ছে, কালার কম্বিনেশন কেমন হচ্ছে, সবকিছুই ছিল ক্রিকেটপ্রেমীদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। গত শুক্রবার ওমান ‘এ’ দলের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচের জার্সি দেখে অনেকেই ধারণা করেছিলেন, বিশ্বকাপের জার্সি এটাই। সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে সেই জার্সি উন্মোচিত হওয়ার পর অপেক্ষা ঘুচলো ক্রিকেটপ্রেমীদের। যদিও ক্রিকেটারদের অনুপস্থিতিতেই হয়েছে এই আয়োজন। কেননা মুশফিক-সাকিবরা এখন বিশ্বকাপ ভেন্যুতে।

বাংলাদেশের জার্সি তৈরি করে স্পোর্টস অ্যান্ড স্পোর্টস। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ এই প্রতিষ্ঠানটি এবারও বিশেষ জার্সি নিয়ে এসেছে। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জার্সিটি হচ্ছে রেট্রো (যে জার্সি আগে একবার পরা হয়েছে)। ২০০৪-২০০৫ সালের জার্সি থেকে আইডিয়া নিয়ে এটি বানানো, তবে হুবহু নয়। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের জন্য দুই ধরনের জার্সি তৈরি করা হয়েছে। একটাতে লাল এবং অন্যটিতে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে সবুজ রং।

এবারেও বাংলাদেশের রেপ্লিকা জার্সি বিক্রি করার স্বত্ব পেয়েছে স্পোর্টস অ্যান্ড স্পোর্টস ডিজাইন। কয়েক বছর ধরে এই প্রতিষ্ঠানটিই তৈরি করে আসছে জাতীয় দলের জার্সি। আড়ংয়ের মাধ্যমে ক্রিকেটপ্রেমীরা জার্সি কেনার সুযোগ পাবেন।

আরো পড়ুন:
ই-কমার্স নীতিমালা ঠিকমতো মানা হচ্ছে কি?
শার্শায় জামাইয়ের হাতে শ্বশুর খুন

জার্সির বিক্রির স্বত্ব পেয়ে ব্র্যাক এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজিং ডিরেক্টর তামারা হাসান আবেদ বলেছেন, বাংলাদেশ জাতীয় দলের জার্সি বিক্রির স্বত্ব পেয়ে আড়ং পরিবারের সদস্য হিসেবে গর্ববোধ করছি। আমাদের জন্য এই অনুভূতি অসাধারণ। জাতীয় দলের জার্সি বিক্রি থেকে আয় হলে ব্র্যাকের উন্নয়নে ব্যয় হবে। বাংলাদেশের জাতীয় দলের জন্য শুভ কামনা।

বিসিবি পরিচালক ও সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান বলেছেন, আমরা যখন ক্রিকেট খেলতাম, তখন কোচরা আমাদের ব্যাট ও বল নিয়েই চিন্তা করতে বলতেন। বর্তমান ক্রিকেটে ফুড যেমন গুরুত্বপূর্ণ, জার্সিও তেমন। যত স্বস্তিদায়ক জার্সি পাওয়া যায়, ততই আমাদের জন্য ভালো। হাজার হাজার ফোন পাই জার্সির জন্য। এখন আমাদের ফোন করলে বলতে পারবো আড়ংয়ে জার্সি পাওয়া যাচ্ছে।

অক্টোবর  ১২.২০২১ at ১৫:৩১:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/সনি/জআ